শেয়ার বাজারে ঐতিহাসিক উত্থান! কী ঘটছে ভারত-পাকিস্তানে?

২০২৫ সালের ১২ মে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের যুদ্ধবিরতির পর ভারতীয় শেয়ার বাজারে অভূতপূর্ব উত্থান দেখা গেছে। বিএসই সূচক ২৯৭৫ পয়েন্ট এবং নিফটি ৯৭০ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ৮২৪৩০ এবং ২৪৯২৫-এ বন্ধ হয়। ইনফোসিস (৭.৬৭%), টাটা স্টিল (৫.৬৪%), জোমাটো (৫.৫%) সহ আইটি, ধাতু, আর্থিক পরিষেবা ও অটো সেক্টরের শেয়ার যথাক্রমে ৬.৭%, ৫.৮৬%, ৪.২১% এবং ৩.৪১% বৃদ্ধি পেয়েছে। এই উত্থানের পেছনে রয়েছে যুদ্ধবিরতি, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ০.২৫% রেপো রেট হ্রাস, চতুর্থ প্রান্তিকে ১২.৪% কর্পোরেট মুনাফা বৃদ্ধি এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা। ১৩ মে বিদেশি ও দেশীয় বিনিয়োগকারীরা যথাক্রমে ১২৪৬ কোটি এবং ১৪৪৮ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছেন। পাকিস্তানের করাচি স্টক এক্সচেঞ্জও ৯% উত্থান দেখেছে, যা আইএমএফ-এর ২.৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ এবং স্থানীয় রেপো রেট হ্রাসের ফল।
পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার (২২ এপ্রিল) পর শেয়ার বাজার পতনের মুখ দেখে, বিএসই ৮৮০ পয়েন্ট এবং নিফটি ২৬৬ পয়েন্ট কমেছিল। যুদ্ধবিরতির পর বাজার পুনরুদ্ধার করেছে, এবং বিশ্লেষকরা ভবিষ্যদ্বাণী করছেন যে বিএসই শীঘ্রই ৮৫০০০ এবং নিফটি ২৫০০০ ছাড়িয়ে যাবে। আমেরিকা-চীন শুল্ক আলোচনার সাফল্যে ডাও জোন্স ১০০০ পয়েন্ট বেড়েছে, যা বিশ্ববাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ভারতের শেয়ার বাজার, যার মূলধন ৫ ট্রিলিয়ন ডলার, বিশ্বের শীর্ষ পাঁচে রয়েছে এবং পাকিস্তানের তুলনায় ১০ গুণ বড়। অপরিশোধিত তেলের স্থিতিশীলতা, ভোগ্যপণ্যের চাহিদা এবং আর্থিক নীতি এই উত্থানকে আরও জোরদার করেছে।