ভারতের সামরিক শক্তি এবার মহাকাশে, তিন অস্ত্রে যুদ্ধ জয়ের প্রস্তুতি

ভারতের সামরিক শক্তি এবার মহাকাশে, তিন অস্ত্রে যুদ্ধ জয়ের প্রস্তুতি

নয়াদিল্লি, ১৬ মে: জম্মু-কাশ্মীরের পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতীয় সেনাবাহিনী তার সামরিক শক্তি বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে। এবার ভারত মহাকাশে নিজের ক্ষমতা প্রসারিত করতে প্রস্তুত। প্রাক্তন ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল ভট্ট জানিয়েছেন, “ভবিষ্যতে প্রতিটি দেশকে মহাকাশে নিজের সম্পদ রক্ষা করতে হবে এবং শত্রুপক্ষের সম্পদ সম্পর্কে জানতে হবে। যুদ্ধ বা পাক-অধিকৃত কাশ্মীর পুনরুদ্ধার যুদ্ধের শেষ বিকল্প হওয়া উচিত।” ৩৮ বছরের ক্যারিয়ারে ভট্ট ডোকলাম সংকটে ডিজিএমও এবং লেবানন-ইজরায়েল সীমান্তে জাতিসংঘ কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান জানিয়েছেন, ভারত শীঘ্রই মিলিটারি স্পেস ডকট্রিন প্রকাশ করবে, যা যুদ্ধক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করবে। তিনি বলেন, “চীন যখন দ্রুত তার ক্ষমতা বাড়াচ্ছে এবং স্যাটেলাইট নিষ্ক্রিয় করার ক্ষমতা রাখে, তখন ভারতের তিনটি অস্ত্র—স্ট্র্যাটেজিক প্রতিরোধ ও আক্রমণ ক্ষমতা, স্পেস সিচুয়েশনাল অ্যাওয়ারনেস (এসএসএ) এবং নাগরিক-সামরিক-বেসরকারি সহযোগিতা—যুদ্ধে জয় নিশ্চিত করবে।” তিনি আরও জানান, ডিফেন্স স্পেস এজেন্সি (ডিএসএ) আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে এই ডকট্রিন প্রকাশ করতে পারে। এটি অ্যান্টি-স্যাটেলাইট অস্ত্র, ইলেকট্রনিক যুদ্ধব্যবস্থা এবং নির্দেশিত শক্তি অস্ত্রের উন্নয়নের পাশাপাশি স্যাটেলাইট ও মহাকাশের ধ্বংসাবশেষের রিয়েল-টাইম নজরদারির উপর জোর দেবে।
মনোহর পারিকর ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালিসিস-এর ইন্ডিয়ান ডিফেন্স স্পেস সিম্পোজিয়াম ২০২৫-এ চৌহান বলেন, “মহাকাশ যুদ্ধের নতুন ক্ষেত্র হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। আমাদের এমন সংস্কৃতি গড়তে হবে যা মহাকাশ যুদ্ধে নতুন ধারণা ও ক্ষমতা বাড়াবে।” ভারতীয় স্পেস ডকট্রিনের লক্ষ্য নাগরিক, সামরিক ও বেসরকারি খাতের সমন্বয়ে প্রযুক্তি উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা এবং জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করা। চীনের জ্যামার ও অ্যান্টি-স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মুখে ভারতের স্পাই স্যাটেলাইট ও মহাকাশ সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন অগ্রাধিকার।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *