সৈফ আলি খানের তিন সম্পত্তিতে পাকিস্তানি সংযোগ, শত্রু সম্পত্তি হিসেবে ঘোষিত

সৈফ আলি খানের তিন সম্পত্তিতে পাকিস্তানি সংযোগ, শত্রু সম্পত্তি হিসেবে ঘোষিত

ভোপাল, ১৬ মে: বলিউড অভিনেতা সৈফ আলি খানের ভোপাল, সিহোর এবং রায়সেনে অবস্থিত তিনটি সম্পত্তি শত্রু সম্পত্তি হিসেবে ঘোষিত হয়েছে, যার মূল্য কোটি কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় গৃহ মন্ত্রণালয়ের শত্রু সম্পত্তি সংরক্ষক (সিইপিআই) ৮ মে, ২০২৫-এ একটি পত্রে জানিয়েছে, ভোপালের শেষ নবাব হামিদুল্লাহ খানের কন্যা আবিদা এবং আফতাব বেগম পাকিস্তানের নাগরিক ছিলেন। ফলে তাদের অংশের সম্পত্তিগুলি শত্রু সম্পত্তি আইন, ১৯৬৮-এর অধীনে শত্রু সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই তথ্য সমাজসেবী অমিতাভ অগ্নিহোত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রকাশিত হয়েছে, এবং সিইপিআই বর্তমানে এই সম্পত্তিগুলির জরিপ করছে।
অগ্নিহোত্রী দাবি করেছেন, নবাব পরিবারের কাছে ১৯৪৯ সালের মার্জার চুক্তির মূল কপি তলব করা হোক। এটি উপস্থাপন না করলে সম্পত্তিগুলি বাজেয়াপ্ত করা উচিত। হাইকোর্টে জমা দেওয়া মালা শ্রীবাস্তবের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভোপাল ও আশপাশের প্রায় ৫৫০ একর জমি নবাব পরিবারের নামে নথিভুক্ত ছিল, যা ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এই সম্পত্তিগুলির মধ্যে ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউস, নূর-উস-সাবাহ প্যালেস এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। সিইপিআই-এর তদন্তের পর এই সম্পত্তিগুলি সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে, যা সৈফ ও তার পরিবারের জন্য বড় ধাক্কা।
গৃহ মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে পাকিস্তানি নাগরিকদের মোট ১২,৯৮৩টি সম্পত্তি শত্রু সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত, যার বেশিরভাগ উত্তর প্রদেশ (৫,৬৮৮) এবং পশ্চিমবঙ্গে (৪,৩৫৪) অবস্থিত। শত্রু সম্পত্তি আইন, ১৯৬৮ অনুযায়ী, যারা ভারত থেকে পাকিস্তান বা চীনে চলে গিয়েছিলেন এবং তাদের সম্পত্তি ভারতে রয়ে গিয়েছিল, তা শত্রু সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হয়। ২০১৭ সালের সংশোধনীতে স্পষ্ট করা হয়েছে, এমনকি ভারতীয় নাগরিক হলেও শত্রু সম্পত্তির উত্তরাধিকারীরা এর উপর দাবি করতে পারবেন না। সিইপিআই এই সম্পত্তি বিক্রি, লিজে দেওয়া বা অন্যভাবে ব্যবহারের অধিকার রাখে। সৈফের আইনি দল এখনও এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *