মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের রায়, তিন মাসের মধ্যে ২৫% ডিএ বাধ্যতামূলক

সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার (১৬ মে, ২০২৫) পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ২৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে, যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ এই অন্তর্বর্তী আদেশ জারি করে রাজ্য সরকারকে তিন মাসের মধ্যে এই অর্থ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগস্ট মাসে নির্ধারিত হয়েছে।
বিবাদের সূত্রপাত হয় যখন কিছু রাজ্য সরকারি কর্মচারী কলকাতা হাইকোর্টে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সমান ডিএ এবং বকেয়া প্রদানের দাবি জানান। ২০২২ সালের মে মাসে হাইকোর্ট রাজ্যকে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ প্রদানের নির্দেশ দেয়। তবে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০২২ সালের নভেম্বরে এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে। এই সময়ের মধ্যে রাজ্য সরকার কয়েকবার ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করলেও, তা কেন্দ্রীয় হারের সঙ্গে মেলেনি, এবং বর্তমানে ৩৭ শতাংশের একটি উল্লেখযোগ্য ব্যবধান রয়ে গেছে।
বর্তমানে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ৫৫ শতাংশ ডিএ পান, যেখানে পশ্চিমবঙ্গের কর্মচারীরা ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে ১৪ শতাংশে ৪ শতাংশ যোগ হওয়ায় মাত্র ১৮ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন। এই বৈষম্যের কারণে রাজ্যের কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। মহার্ঘ ভাতা মুদ্রাস্ফীতি এবং জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় মোকাবিলায় সহায়তা করে, যা মূল বেতন বা পেনশনের শতাংশ হিসেবে গণনা করা হয়। এই সাম্প্রতিক বৃদ্ধির ফলে ১০ লক্ষেরও বেশি রাজ্য সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগী উপকৃত হবেন।
বিজেপি নেতা অমিত মালবিয়া এই রায়কে “রাজ্যের কর্মচারীদের এবং বিজেপি বাংলার জন্য বড় জয়” হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি দাবি করেন, রাজ্য সরকার প্রায় ১৭ বার শুনানি বিলম্বিত করার চেষ্টা করেছে। এই আদেশের ফলে কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা যাচ্ছে।