ভারত-পাক উত্তেজনায় অদানির কড়া পদক্ষেপ, তুরস্কের সেলেবি ও চিনের ড্রাগনপাসের সঙ্গে চুক্তি বাতিল

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়া তুরস্কের সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। প্রথমে ভারত সরকার, তারপর দেশের জনগণ তুরস্ক ও আজারবাইজানের বিরুদ্ধে বয়কট ঘোষণা করেছে। এবার দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি গৌতম অদানি একটি বড় পদক্ষেপ নিয়ে তুরস্ক ও চিন উভয়কেই কঠোর বার্তা দিয়েছেন।
অদানি এয়ারপোর্ট হোল্ডিংস অহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং পরিষেবার জন্য তুরস্কের কো ম্পা নি সেলেবির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে। এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় নাগরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি (বিসিএএস) কর্তৃক ১৫ মে সেলেবি এয়ারপোর্ট সার্ভিসেস ইন্ডিয়া লিমিটেডের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিলের পর নেওয়া হয়েছে। বিসিএএস জাতীয় নিরাপত্তার কারণে এই পদক্ষেপ নিয়েছে এবং সেলেবিকে তাৎক্ষণিকভাবে সমস্ত গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সুবিধা অদানির হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। “জাতীয় স্বার্থ এবং পরিষেবার উচ্চমান বজায় রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ,” অদানির এক মুখপাত্র বলেন।
একই সঙ্গে, অদানি চিনের ড্রাগনপাসের সঙ্গেও তাদের চুক্তি বাতিল করেছে, যারা বিমানবন্দর লাউঞ্জ ও ভ্রমণ পরিষেবা প্রদান করে। “ড্রাগনপাসের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক তাৎক্ষণিকভাবে শেষ করা হয়েছে। এই কো ম্পা নির গ্রাহকরা অদানি-পরিচালিত বিমানবন্দরে লাউঞ্জ ব্যবহার করতে পারবেন না,” অদানির মুখপাত্র জানিয়েছেন। এই পদক্ষেপ মুম্বই, অহমেদাবাদ, লখনউ, মঙ্গলুরু, জয়পুর, গুয়াহাটি ও তিরুবনন্তপুরমের মতো অদানি-পরিচালিত বিমানবন্দরে প্রভাব ফেলবে। তবে, অন্যান্য লাউঞ্জ নেটওয়ার্ক বা ব্যাঙ্ক কার্ডধারীদের পরিষেবা অপ্রভাবিত থাকবে।
সেলেবি তাদের বক্তব্যে দাবি করেছে, তারা তুরস্কের কো ম্পা নি নয় এবং অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। “আমরা ৬৫% আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের মালিকানাধীন, যার মধ্যে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমাদের কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই,” সেলেবি জানিয়েছে। এই ঘটনার পর সরকার এবং অদানি কী পদক্ষেপ নেয়, তা এখন দেখার বিষয়। পাহালগাম সন্ত্রাসী হামলা ও ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর প্রেক্ষাপটে তুরস্কের পাকিস্তান সমর্থন এই সিদ্ধান্তের পিছনে মূল কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।