আমির খানের ‘পিকে’র রেকর্ড গড়া সাফল্য, ৮৫ কোটির বাজেটে ৮০০ কোটির ব্যবসা

হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান শীঘ্রই ‘সিতারে জমিন পর’-এর মাধ্যমে বড় পর্দায় ফিরছেন। দীর্ঘ বিরতির পর তাঁর প্রত্যাবর্তন নিয়ে ভক্তদের উৎসাহ তুঙ্গে। আমিরের ফিল্ম মানেই বক্স অফিসে ঝড়। তিনি কম ছবি করলেও প্রতিটি ছবি দর্শকদের মনে গভীর ছাপ ফেলে। তাঁর ক্যারিয়ারে ব্লকবাস্টার ছবির তালিকা দীর্ঘ। আজ আমরা এমন একটি ছবির কথা বলব, যা ১১ বছর আগে মুক্তি পেয়ে বক্স অফিসে তাণ্ডব সৃষ্টি করেছিল। মাত্র ৮৫ কোটি টাকার বাজেটে নির্মিত এই ছবি বিশ্বব্যাপী প্রায় ৮০০ কোটি টাকা কামিয়ে অল টাইম ব্লকবাস্টারের তকমা পেয়েছিল।
এই ছবি হল ‘পিকে’। ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪-এ মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবি শুধু আমির খানের নয়, হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সফল ছবি। রাজকুমার হিরানির পরিচালনায় নির্মিত এই ছবিতে আমিরের সঙ্গে ছিলেন অনুষ্কা শর্মা, সুশান্ত সিং রাজপুত, বোমান ইরানি, সৌরভ শুক্লা ও পরীক্ষিত সাহনির মতো তারকারা। ৮৫ কোটি টাকার বাজেটে নির্মিত এই ছবি ধর্মীয় কুসংস্কার ও ভণ্ডামির বিরুদ্ধে ব্যঙ্গাত্মক কাহিনির জন্য প্রশংসিত হয়েছিল, যদিও কিছু বিতর্কও সৃষ্টি করেছিল। তবে দর্শকদের ভালোবাসা ছবিটিকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছিল।
‘পিকে’ মুক্তির প্রথম দিনেই বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল। প্রথম দিনে ২৬.৬৩ কোটি, দ্বিতীয় দিনে ৩০.৩৪ কোটি এবং তৃতীয় দিনে ৩৮.৪৪ কোটি টাকা আয় করে ছবিটি নিজের শক্তি প্রমাণ করেছিল। মাত্র চার দিনে ১০০ কোটি টাকার গণ্ডি পেরিয়ে ভারতে মোট ৩৪০ কোটি টাকা আয় করেছিল। বিশ্বব্যাপী এই ছবি ৭৯২ কোটি টাকা কামিয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান করে নিয়েছিল, কারণ এটি ছিল ভারতের বাইরে সবচেয়ে বেশি আয় করা প্রথম ভারতীয় ছবি। পরিচালক রাজকুমার হিরানি বলেছিলেন, “এই সাফল্য কল্পনার বাইরে। এটি প্রমাণ করে কনটেন্টই সব।”
এই ছবির সাফল্য শুধু বাণিজ্যিক নয়, সামাজিক বার্তার দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। চীনে মুক্তির পর ১৬ দিনে ১০০ কোটি টাকা আয় করে ‘পিকে’ ইতিহাস গড়েছিল। আমিরের অভিনয়, হিরানির গল্প বলার কৌশল এবং ছবির বার্তা দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়েছিল। ‘পিকে’ আজও বক্স অফিসের এক অমর কাহিনি হয়ে রয়েছে।