হিন্দি সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত তাঁর অভিনয়, নৃত্য ও অপরূপ সৌন্দর্য দিয়ে দর্শকদের হৃদয়ে রাজত্ব করেছেন। তাঁর কৃতিত্বের তুলনা মেলা ভার। আজও তাঁর নৃত্য ও সৌন্দর্য ভক্তদের হৃদয়ে ঝড় তোলে। অনেক অভিনেতার হৃদয় মাধুরীর জন্য ধড়কলেও, তিনি কোনো বলিউড তারকার সঙ্গে নয়, আমেরিকার বিশিষ্ট কার্ডিওভাসকুলার সার্জন ডক্টর শ্রীরাম নেনের প্রেমে পড়েন। কীভাবে একজন বলিউড তারকা ও আমেরিকার চিকিৎসকের মধ্যে প্রেমের সেতু গড়ে উঠল? আসুন জানি তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ ও প্রেমকাহিনির গল্প।
একটি সাক্ষাৎকারে মাধুরী নিজেই শ্রীরামের সঙ্গে প্রথম দেখার কথা জানিয়েছিলেন। ১৯৯০-এর দশকে তাঁর ভাই অজিত দীক্ষিত আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসে একটি পার্টির আয়োজন করেন, যেখানে শ্রীরাম নেনে আমন্ত্রিত ছিলেন। অজিতের মাধ্যমে মাধুরী ও শ্রীরামের পরিচয় হয়। তখন মাধুরী ইতিমধ্যে বলিউডের শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী, কিন্তু শ্রীরাম তাঁর জনপ্রিয়তা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞাত ছিলেন। প্রথম সাক্ষাতেই দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বের সূত্রপাত হয়। মাধুরী জানান, “শ্রীরামের সরলতা ও বুদ্ধিমত্তা আমাকে আকর্ষণ করেছিল।” ধীরে ধীরে এই বন্ধুত্ব প্রেমে রূপান্তরিত হয়।
দুজনের পেশাগত জগৎ ভিন্ন হলেও তাঁদের সম্পর্ক গভীর হতে থাকে। দীর্ঘদিনের দূর-দূরান্তের সম্পর্কের পর ১৯৯৯ সালে মাধুরী ও শ্রীরাম গোপনে আমেরিকায় বিয়ে করেন। এই গোপনীয় বিয়ে ভারতে অনেকের জন্য চমকপ্রদ ছিল। বিয়ের পর তাঁরা দুই পুত্র সন্তানের জনক-জননী হন—আরিন নেনে ও রায়ান নেনে। শ্রীরামের একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “মাধুরীর সঙ্গে আমার জীবন একটি নতুন মোড় নিয়েছে। তাঁর সরলতা ও প্রতিভা আমাকে সবসময় মুগ্ধ করে।”
মাধুরী ও শ্রীরামের প্রেমকাহিনি প্রমাণ করে যে ভালোবাসা ভৌগোলিক সীমানা বা পেশাগত পার্থক্য মানে না। আজও তাঁদের সম্পর্ক ভক্তদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা। মাধুরী বলিউডে ফিরলেও তাঁদের পারিবারিক বন্ধন অটুট রয়েছে, যা তাঁদের প্রেমের গভীরতার প্রমাণ।