স্বপ্নের শুরু ১৫,০০০ টাকায়, এখন ১ কোটি: বেঙ্গালুরু টেকির অসাধারণ যাত্রা

স্বপ্নের শুরু ১৫,০০০ টাকায়, এখন ১ কোটি: বেঙ্গালুরু টেকির অসাধারণ যাত্রা

বেঙ্গালুরু, ১৬ মে ২০২৫: একজন বেঙ্গালুরু টেকি তার নিম্ন-আয়ের পরিবার থেকে শুরু করে ৩০ বছরের আগেই ১ কোটি টাকার সম্পদ গড়ার গল্প শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছেন। রেডিটে তিনি লিখেছেন, “এটা গর্বের নয়, আমার গল্প। এটা মনে করিয়ে দেয়, তুমি যেখান থেকেই শুরু করো না কেন, ধৈর্য ও অধ্যবসায় থাকলে জীবন বদলে যায়।” ২০১৮ সালে ২.৪ লাখ টাকা বার্ষিক বেতন (প্রায় ১৫,০০০ টাকা মাসিক) নিয়ে তিনি বেঙ্গালুরুতে ক্যারিয়ার শুরু করেন। তিনি বলেন, “বেঙ্গালুরুর মতো শহরে এই বেতনে টিকে থাকা ভয়ের ছিল। কিন্তু তিনজনের শেয়ারিং পিজি আর ৫০০ টাকাকে ৫,০০০-এর মতো খরচ করার কৌশলে আমরা বেঁচে ছিলাম। মজাও করেছি, প্রচুর!”

নিম্ন-আয়ের পরিবারে বড় হওয়া এই টেকির বাবার মাসিক আয় ছিল ৭,০০০-৮,০০০ টাকা, মায়ের ৫,০০০-৭,০০০ টাকা। ঋণ পাওয়া যায়নি, তবে আত্মীয়দের সাহায্যে তিনি একটি ভালো প্রাইভেট স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হন। তৃতীয় বছরে তিনি প্রোগ্রামিংয়ের প্রতি আকর্ষণ বোধ করেন। ২০২০ সালে একটি বিগ ৪ কো ম্পা নিতে ৬-৮ লাখ টাকার অফার পান, কিন্তু কোভিডের কারণে তা বাতিল হয়। হতাশ না হয়ে ২০২১ সালে তিনি একটি হেলথকেয়ার স্টার্টআপে ১২ লাখ টাকার চাকরি পান। “এইচআরের ফোন এল যখন টয়লেটে ছিলাম, ফোনটাই পড়ে যাওয়ার অবস্থা!” তিনি হাসতে হাসতে বলেন।

২০২২ সালে ‘গ্রেট রেজিগনেশন’-এর সময় তিনি ১৩টি চাকরির অফার পান এবং একটি প্রোডাক্ট-ভিত্তিক কো ম্পা নিতে ৩২ লাখ টাকার প্যাকেজ নেন। স্টক গ্রান্টের কারণে তার বেতন এখন ৪৫-৫০ লাখ টাকা। আর্থিক জ্ঞান ছাড়াই তিনি শুরুতে সঞ্চয় সেলারি অ্যাকাউন্টে বা ফিক্সড ডিপোজিটে রাখতেন। “ইউটিউবে প্রাঞ্জল কামরার ভিডিও দেখে এসআইপি, মিউচুয়াল ফান্ড আর কম্পাউন্ডিং শিখলাম,” তিনি বলেন। এখন তিনি মাসে ৭১,০০০ টাকা বিনিয়োগ করেন, ১.৬ লাখ টাকা টেক-হোম বেতন ম্যানেজ করেন এবং জোমাটো অর্ডার ও ভ্রমণের জন্যও টাকা রাখেন।

তার জীবনযাত্রা সাধারণ। ২০১৯ সালের অ্যান্ড্রয়েড ফোন, কো ম্পা নির ফ্রি টি-শার্ট আর ২৫০ টাকার জুতো (১,০০০ টাকার সোল সহ) তার পছন্দ। “বিলাসিতার পেছনে ছুটিনি। ৩৫-৪০ বছরে আর্থিক স্বাধীনতা চাই, শান্তির জন্য, বেতনের জন্য নয়,” তিনি বলেন। এই গল্প শুধু আর্থিক সাফল্য নয়, ধৈর্য, শেখার মনোভাব এবং সাধারণ জীবনযাপনের প্রেরণা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *