অপারেশন সিন্দুর: শেহবাজ শরিফের কবুলনামা, ভারতের হামলায় পাকিস্তানের ভয়াবহ ক্ষতি

নয়াদিল্লি, ১৭ মে ২০২৫: পাহলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। ৬ ও ৭ মে ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে নির্ভুল হামলার পর ইসলামাবাদ হতবাক হয়ে পাল্টা হামলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ভারতের অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাকিস্তানের ড্রোন ও মিসাইল ধ্বংস করে দেয়। ভারতের জবাবি হামলায় পাকিস্তানের ১৩টির মধ্যে ১১টি এয়ারবেস ধ্বংস হয়। প্রাথমিকভাবে এই ক্ষয়ক্ষতি অস্বীকার করলেও, হামলার প্রায় আট দিন পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ স্বীকার করেছেন, ভারত তাদের ভূখণ্ডে ঢুকে প্রচণ্ড আঘাত হেনেছে।
শরিফ জানান, ৯-১০ মে রাত আড়াইটায় সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির তাঁকে সুরক্ষিত লাইনে ফোন করে জানান, ভারতের ব্রহ্মোস মিসাইল নূর খান এয়ারবেস-সহ একাধিক স্থানে আঘাত করেছে। “আমাদের বিমান বাহিনী দেশীয় প্রযুক্তি এবং চীনা যুদ্ধবিমানের আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে দেশ রক্ষার চেষ্টা করেছে,” বলেন শরিফ। তবে, নূর খান এয়ারবেস, যেখানে পাকিস্তান তাদের গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র মজুত রাখে, সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় তাদের বহু যুদ্ধবিমান অকেজো হয়ে পড়ে। এই ক্ষতির ছবি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে, যদিও শরিফ ও পাক সেনা প্রাথমিকভাবে এটি অস্বীকার করেছিল।
ভারতের দাবি প্রমাণিত হয়েছে। ১০ মে পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়, যখন নূর খান এয়ারবেস ধ্বংসের পর তারা দুর্বল হয়ে পড়ে। ভারত সেদিনই বলেছিল, এই ক্ষতির কারণেই পাকিস্তান শান্তির কথা বলছে। শরিফের স্বীকারোক্তি ভারতের এই দাবিকে সত্য প্রমাণ করেছে। ভারত মাত্র কয়েক ঘণ্টায় পাকিস্তানকে হাঁটু গেড়ে বসিয়ে দেয়, যার ফলে যুদ্ধের হুমকি দেওয়া শরিফ শান্তির আবেদন করতে বাধ্য হন। “অপারেশন সিন্দুর ভারতের সামরিক শক্তি ও কৌশলগত দক্ষতার প্রমাণ,” বলেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক অজয় সিং।
এই হামলায় ভারত ১৫টি ব্রহ্মোস মিসাইল ব্যবহার করেছিল, যা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ছিন্নভিন্ন করে দেয়। নূর খান এয়ারবেসের ধ্বংস পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতায় গভীর আঘাত হেনেছে, যার জেরে তারা আর ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াতে চায় না। শরিফের এই কবুলনামা ভারতের কূটনৈতিক ও সামরিক জয়ের সাক্ষ্য বহন করে।