এই ৬ জনের উপর ভরসা নয়, পিঠে ছুরি মারতে পারে!

আচার্য চাণক্যের নীতিমালা আজও জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক। তিনি মানুষের আচরণ ও সমাজের জটিলতা সম্পর্কে এমন সব পরামর্শ দিয়েছেন, যা আমাদেরকে বিশ্বাসঘাতকতা থেকে রক্ষা করতে পারে। চাণক্য নীতিতে তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে অতিরিক্ত বিশ্বাস মানুষের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। বিশেষ করে কিছু ধরনের ব্যক্তির থেকে সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। এর মধ্যে রয়েছেন অপরিচিত বা নতুন ব্যক্তি, যাদের চরিত্র বা উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমরা পুরোপুরি জানি না। তাদের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলা বা গোপনীয় তথ্য ভাগ করা বোকামি। এছাড়া, ঈর্ষান্বিত বা শত্রুতাপূর্ণ ব্যক্তির মিষ্টি কথার ফাঁদে পড়লে পিছনে ষড়যন্ত্রের শিকার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। চাণক্য আরও বলেন, অতিরিক্ত কথাবার্তা বলা ব্যক্তিরা গোপনীয়তা রক্ষায় অক্ষম, তাই তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত বিষয় শেয়ার করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
এছাড়াও, চাণক্য সুযোগসন্ধানী বন্ধু, যারা শুধু নিজের স্বার্থে কাছে আসে, এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তা জানার চেষ্টাকারী ব্যক্তিদের প্রতি সতর্ক করেছেন। এমনকি নিকটজন, যেমন চাকর বা কর্মচারীর উপরও অন্ধভাবে ভরসা করা ঝুঁকিপূর্ণ। অতিরিক্ত বিশ্বাসের ফলে ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার, প্রতারণা, আর্থিক ক্ষতি বা সম্পর্কের ফাটলের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। চাণক্যের পরামর্শ হল, প্রত্যেকের চরিত্র যাচাই করে তারপর বিশ্বাস করা, গোপনীয় বিষয় সীমিত লোকের সঙ্গে ভাগ করা এবং আবেগের বশে সিদ্ধান্ত এড়িয়ে সতর্কতার সঙ্গে এগোনো। এই নীতিগুলো মেনে চললে জীবনে বিশ্বাসঘাতকতার ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।