আইএমএফের ঋণে সন্ত্রাসীদের পোষণ, পাকিস্তানের নতুন খেলা

২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র হয়। ভারত ওই দিনই প্রতিশোধের শপথ নিয়ে ‘অপারেশন সিন্দুর’ শুরু করে। এই অভিযানে ১০০-র বেশি সন্ত্রাসী নিহত হয় এবং তাদের ঘাঁটি ধ্বংস হয়। এখন পাকিস্তান সরকার নিহত সন্ত্রাসীদের পরিবারকে ১ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছে, যা আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তির পরই এসেছে।
পাকিস্তানের অর্থনীতি ঋণের দায়ে জর্জরিত হলেও সন্ত্রাসীদের পোষণে তারা পিছপা হয়নি। সম্প্রতি সিন্ধের মুখ্যমন্ত্রী সৈয়দ মুরাদ আলী শাহ জানান, ভারতের হামলায় সিন্ধে সাতজন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ছয়জন পাকিস্তান বিমানবাহিনীর কর্মী এবং একজন সাধারণ নাগরিক মুখতিয়ার লেঘারী। তিনি ‘জাতীয় কৃতজ্ঞতা দিবস’-এ প্রত্যেক নিহতের পরিবারের জন্য ১ কোটি এবং আহতদের জন্য ১০ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন। এই ঘোষণায় মুখতিয়ার লেঘারীর পরিবারই সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে, কারণ তাকে ‘নাগরিক’ হিসেবে উল্লেখ করা হলেও তার পটভূমি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
আইএমএফের ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির পরই পাকিস্তানের এই ক্ষতিপূরণ নীতি ভারতের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “আইএমএফের ঋণ সন্ত্রাসীদের পুনর্গঠনে ব্যবহৃত হচ্ছে।” পাকিস্তানের জ্বালানি ও খাদ্যের দাম আকাশছোঁয়া, জনগণ দুর্ভোগে থাকলেও সরকার সন্ত্রাসীদের পরিবারকে কোটি টাকা দিয়ে পোষণ করছে। এই ঘটনা পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অগ্রাধিকার এবং সন্ত্রাসবাদের প্রতি তাদের দ্বিমুখী নীতিকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে।