ভারতের মিসাইল হামলার পরও অটুট হাফিজ সাঈদের গড়, পাকিস্তানের ‘শিক্ষাকেন্দ্র’ নাটক

ভারতের মিসাইল হামলার পরও অটুট হাফিজ সাঈদের গড়, পাকিস্তানের ‘শিক্ষাকেন্দ্র’ নাটক

পাকিস্তানের মুরিদকে অবস্থিত সেই কমপ্লেক্স, যা ভারতের মিসাইল হামলায় ধ্বংস হয়েছিল, তা ফের নির্মাণ করা হচ্ছে। ভারত দীর্ঘদিন ধরে এই ২৭ হেক্টরের ধর্মীয় ও শিক্ষা কমপ্লেক্সকে লস্কর-ই-তৈয়বার আড্ডা বলে অভিযোগ করে আসছে। তবে পাকিস্তান এটিকে ‘শিক্ষা ও সেবাকেন্দ্র’ দাবি করে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

গত ৭ মে ভারত পাকিস্তানের ছয়টি ঘাঁটিতে মিসাইল ও বিমান হামলা চালায়। এর মধ্যে ছিল পাঞ্জাব প্রদেশের মুরিদকে কমপ্লেক্স, যাকে লস্কর-ই-তৈয়বার প্রধান কেন্দ্র বলে মনে করা হয়। এই সংগঠনটি ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার জন্য দায়ী এবং এর প্রধান হাফিজ সাঈদ। ভারতের দাবি, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে ২৬ জনের প্রাণহানির হামলার পেছনেও এই নেটওয়ার্কের হাত ছিল। প্রতিশোধমূলক হামলায় ভারতীয় বিমানবাহিনী এই কথিত আতঙ্কী ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু করে। কিন্তু পাকিস্তানের প্রশাসন জানিয়েছে, এখানে শুধু মসজিদ, স্কুল, হোস্টেল, ক্লিনিক ও পেশাগত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। কমপ্লেক্সের প্রশাসক মোহাম্মদ আজম জাজল সংবাদ সংস্থা কিয়োদোকে বলেন, “আমরা শিক্ষা দিই, আতঙ্ক ছড়াই না।” তিনি জানান, পাকিস্তান সরকার এখন এই কমপ্লেক্সের তদারকি করে, যেখানে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।

হামলায় তিনজন কর্মী নিহত হন, যারা সরকারের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ সত্ত্বেও কমপ্লেক্সে ছিলেন। মসজিদের ছাদ ধসে পড়ে, বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়। তবু পাকিস্তান দাবি করছে, এই কেন্দ্র পুনরায় চালু হবে। একসময় ‘মরকজ-ই-তৈয়বা’ নামে পরিচিত এই কমপ্লেক্সটি ১৯৮৭ সালে হাফিজ সাঈদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ২০১৯ সালে সাঈদের গ্রেপ্তারের পর পাকিস্তান সরকার এটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নাম পরিবর্তন করে ‘গভর্নমেন্ট হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন কমপ্লেক্স শেখুপুরা’ রাখে। বর্তমানে এখানে ১,৪০০ ছাত্রের জন্য দুটি স্কুল ও ৬৫০ ছাত্রের মাদ্রাসা রয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *