শ্রেয়াস আইয়ারকে বাদ দেওয়ার অজুহাত কী? বিসিসিআই-এর সিদ্ধান্তে ফুটছে ভক্তদের রাগ

শ্রেয়াস আইয়ারকে বাদ দেওয়ার অজুহাত কী? বিসিসিআই-এর সিদ্ধান্তে ফুটছে ভক্তদের রাগ

ইন্ডিয়া এ দল ইংল্যান্ড সফরে ৩০ মে, ২০২৫ থেকে দুটি ফার্স্ট-ক্লাস ম্যাচ এবং ভারতীয় সিনিয়র দলের সঙ্গে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। বিসিসিআই এই সফরের জন্য ২০ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে, কিন্তু তাতে শ্রেয়াস আইয়ারের নাম নেই। তাঁর এই বাদ পড়া ভক্ত এবং ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে, কারণ শ্রেয়াস গত ঘরোয়া মরশুমে রঞ্জি ট্রফিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন। এরপর তিনি ওডিআই দলে ফিরেছিলেন এবং আশা করা হচ্ছিল যে তিনি টেস্ট দলেও সুযোগ পাবেন। কিন্তু বিসিসিআই-এর বাছাইয়ের কারণ জানলে ভক্তদের রাগ আরও বাড়বে।
আইএএনএস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বিসিসিআই নির্বাচকদের পরামর্শ দিয়েছে যে আইপিএল ২০২৫-এর প্লে-অফ থেকে যে দলগুলো বাদ পড়েছে বা বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেই দলের খেলোয়াড়দের বেছে নেওয়া হোক। একটি সূত্র বলেছে, “অনেক বিশৃঙ্খলা ছিল, তাই বিসিসিআই নির্বাচকদের পরামর্শ দিয়েছে যে যে খেলোয়াড়দের দল আইপিএল প্লে-অফের দৌড় থেকে বাইরে, তাদের দিয়ে দল গঠন করা হোক। ইন্ডিয়া এ দলের খেলোয়াড়রা ২৫ মে ইংল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হতে পারে।” এই অজুহাত স্পষ্টতই প্রশ্ন তুলেছে, কারণ শুভমন গিলের গুজরাট টাইটান্সও প্লে-অফের দৌড়ে রয়েছে, তবুও গিল এবং তাঁর সতীর্থ সাই সুদর্শন দলের দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে যোগ দেবেন। তাহলে শ্রেয়াসকে কেন বাদ দেওয়া হল? এই প্রশ্নের উত্তর শুধু বিসিসিআই-ই দিতে পারে।
শ্রেয়াসের পারফরম্যান্স অসাধারণ। ২০২৪-২৫ রঞ্জি ট্রফিতে মুম্বাইয়ের হয়ে ৫ ম্যাচে ৬৮.৫৭ গড়ে ৪৮০ রান করেছেন, যার মধ্যে একটি ডাবল সেঞ্চুরি (২৩৩) এবং একটি সেঞ্চুরি রয়েছে। তিনি সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফি এবং বিজয় হাজারে ট্রফিতেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এ ভারতের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন (৫ ম্যাচে ২৪৩ রান)। এত কিছুর পরও বিসিসিআই যদি মনে করে যে শ্রেয়াসের রেড-বল ক্রিকেটে ক্ষমতা নেই, তাহলে এটি তাঁর প্রতি সুবিচার নয়। এক্স-এ একজন ভক্ত লিখেছেন, “রঞ্জিতে রানের পাহাড়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ঝড়, তবু শ্রেয়াসকে উপেক্ষা? বিসিসিআই কি আইপিএল প্লে-অফের নামে তাঁর ক্যারিয়ার নষ্ট করছে?”
ইন্ডিয়া এ দল: অভিমন্যু ঈশ্বরণ (অধিনায়ক), ধ্রুব জুরেল (সহ-অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), যশস্বী জয়সওয়াল, করুণ নায়ার, নীতীশ কুমার রেড্ডি, শার্দুল ঠাকুর, ঈশান কিষাণ, মানব সুথার, তনুষ কোটিয়ান, মুকেশ কুমার, আকাশ দীপ, হর্ষিত রানা, অংশুল কাম্বোজ, খলিল আহমেদ, ঋতুরাজ গায়কোয়াড়, সরফরাজ খান, তুষার দেশপান্ডে, হর্ষ দুবে, শুভমন গিল, সাই সুদর্শন (দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে)।
বিসিসিআই-এর এই সিদ্ধান্ত শ্রেয়াসের প্রতি পক্ষপাতমূলক বলে মনে হচ্ছে, বিশেষত যখন তাঁর ফর্ম এবং ধারাবাহিকতা অনবদ্য। ভক্তদের ক্ষোভের মূলে রয়েছে নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং ন্যায্যতার প্রশ্ন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *