অম্বানি থেকে আদানি: কে কোন বয়সে হলেন অরবপতি? সাফল্যের গল্প যা প্রেরণা দেয়

প্রত্যেকেরই স্বপ্ন থাকে ধনী হওয়ার, কিন্তু কেউ কেউ তাদের পরিশ্রম, প্রতিভা এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তের জোরে অল্প বয়সেই অরবপতি হয়ে ওঠেন। মার্ক জাকারবার্গ, এলন মাস্ক, মুকেশ অম্বানি এবং গৌতম আদানির মতো ব্যক্তিত্বদের সাফল্যের গল্প শুধু প্রেরণাদায়ক নয়, বরং প্রমাণ করে যে দৃষ্টিভঙ্গি এবং জেদ থাকলে বয়স কোনো বাধা নয়।
জাকারবার্গের ডিজিটাল বিপ্লব, মাস্কের মহাকাশ স্বপ্ন
মার্ক জাকারবার্গ মাত্র ২৩ বছর বয়সে, ২০০৮ সালে, ফেসবুক (বর্তমানে মেটা) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ অরবপতি হন। “আমি শুধু মানুষকে সংযুক্ত করতে চেয়েছিলাম,” তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বিশ্বব্যাপী যোগাযোগের ধরন বদলে দেয়। অন্যদিকে, এলন মাস্ক ৪১ বছর বয়সে, ২০১২ সালে, স্পেসএক্স এবং টেসলার সাফল্যের মাধ্যমে অরবপতি হন। তাঁর প্রথম কো ম্পা নি Zip2 বিক্রির পর থেকেই তিনি অগ্রগতির পথে। “ঝুঁকি নেওয়া আমার কাছে স্বাভাবিক,” মাস্ক বলেন, যিনি মহাকাশ এবং ইলেকট্রিক গাড়ির ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছেন।
অম্বানি-আদানির ভারতীয় উত্থান
ভারতের গৌতম আদানি ২০০৮ সালে, ৪৬ বছর বয়সে, অরবপতি ক্লাবে প্রবেশ করেন। তাঁর আদানি গ্রুপ শক্তি, অবকাঠামো এবং পরিবহন খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। “কঠোর পরিশ্রম এবং কৌশলই আমাকে এখানে এনেছে,” আদানি একবার বলেছিলেন। অন্যদিকে, মুকেশ অম্বানি ২০০৭ সালে অরবপতি হন, যখন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের মূল্য তুঙ্গে ওঠে। তিনি পিতা ধীরুভাই অম্বানির উত্তরাধিকারকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যান। বর্তমানে তিনি এশিয়ার শীর্ষ ধনীদের একজন।
প্রেরণার পাঠ
এই অরবপতিদের গল্প প্রমাণ করে যে সাফল্যের কোনো নির্দিষ্ট বয়স নেই। জাকারবার্গ প্রযুক্তির মাধ্যমে, আদানি ঐতিহ্যবাহী ব্যবসায়, এবং অম্বানি পারিবারিক ব্যবসার সম্প্রসারণের মাধ্যমে শীর্ষে পৌঁছেছেন। তাঁদের সাফল্যের মূলে রয়েছে দূরদৃষ্টি, সাহস এবং অধ্যবসায়। এই গল্পগুলি তরুণদের জন্য পথ দেখায় যে সঠিক দৃষ্টিকোণ থাকলে আসাম্ভবও সম্ভব।