ভারতের অপারেশন সিন্দুর: কীভাবে ডামি এয়ারক্রাফ্ট ও ব্রহ্মোস পাকিস্তানকে হাঁটু গেড়েছিল

২২ এপ্রিল, ২০২৫-এ জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জবাবে ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর আওতায় পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায়, যাতে ১০০-এর বেশি সন্ত্রাসী নিহত হয়। এই অপারেশন কেবল ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর অত্যাধুনিক যুদ্ধক্ষমতাই প্রদর্শন করেনি, বরং কূটনৈতিক ও সামরিক পরিকল্পনার মাধ্যমে পাকিস্তানকে পরাস্ত করেছে।
ভারতীয় বায়ুসেনা (আইএএফ) অপারেশন সিন্দুরে কৌশলগতভাবে মানববিহীন ডামি জেট ব্যবহার করে পাকিস্তানের চীন-নির্মিত এইচকিউ-৯ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে বিভ্রান্ত করে। এই ডামি জেটগুলো যুদ্ধবিমানের মতো দেখতে ছিল, যা পাকিস্তানের রাডারকে সক্রিয় করেছিল। ফলে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অবস্থান উন্মোচিত হয়। এরপর ভারতীয় বাহিনী ইসরায়েলি হারোপ ড্রোনের মতো লইটারিং মিউনিশন ব্যবহার করে পাকিস্তানের রাডার ও কমান্ড সেন্টার ধ্বংস করে দেয়।
৯-১০ মে রাতে ভারত পাকিস্তানের ১২টি প্রধান বিমানঘাঁটির মধ্যে ১১টি লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায়। প্রায় ১৫টি ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল, স্ক্যাল্প, র্যাম্পেজ ও ক্রিস্টাল মেজ মিসাইল ব্যবহার করা হয়। এই আক্রমণে রানওয়ে, হ্যাঙ্গার, কমান্ড সেন্টার এবং সিন্ধু প্রদেশে একটি এয়ারবোর্ন ওয়ার্নিং এয়ারক্রাফ্ট ধ্বংস হয়। ব্রহ্মোস মিসাইল, যা ভারত-রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে নির্মিত, প্রথমবার যুদ্ধে ব্যবহৃত হয় এবং এর মাচ ২.৮-৩.০ গতি ও ৪৫০-৮০০ কিমি রেঞ্জ পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে অকেজো করে দেয়।
এই আক্রমণের তীব্রতায় পাকিস্তান হতবাক হয়ে যায় এবং সামরিক পরিকল্পনা স্থগিত করে ডিজিএমও-স্তরের আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়। ভারতের আকাশ, এস-৪০০ এবং এমআরএসএএম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাকিস্তানের জবাবি হামলাকে ব্যর্থ করে। অপারেশন সিন্দুর ভারতের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি এবং সামরিক শ্রেষ্ঠত্বের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তার সমীকরণে নতুন বার্তা দিয়েছে।