বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের কড়া অবস্থান, দুই বন্দরে সীমিত পণ্য প্রবেশ

বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের টানা ভারত-বিরোধী পদক্ষেপের জবাবে ভারত কঠোর অবস্থান নিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্যিক সুবিধার জন্য ভারতের উপর নির্ভরশীল বাংলাদেশ এখন ভারতীয় ব্যবসায়ের উপর হামলা চালাচ্ছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারত বাংলাদেশ থেকে আগত পণ্যের উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার ফলে এখন শুধু কলকাতা এবং নাভা শেভা বন্দর দিয়ে এই পণ্য ভারতে প্রবেশ করতে পারবে। এই পদক্ষেপের প্রভাব রবিবার স্পষ্ট হয়, যখন বাংলাদেশের বেনাপোল, বুড়িমারী এবং বাংলাবান্ধা বন্দরে ভারতে পণ্য নিয়ে যাওয়া শতাধিক ট্রাক আটকে পড়ে বা পণ্য না খালাস করে ফিরে যায়।
এই ট্রাকগুলোতে প্রধানত তৈরি পোশাক, খাদ্যপণ্য, প্লাস্টিক সামগ্রী এবং অন্যান্য পণ্য ছিল। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ইমদাদুল হক বলেন, “এই আকস্মিক সিদ্ধান্ত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।” বেনাপোল বন্দরে শনিবার সন্ধ্যায় কমপক্ষে ৩৬টি তৈরি পোশাকবাহী ট্রাক আটকা পড়ে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম এবং পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত পথে বাংলাদেশের পণ্য প্রবেশ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে রপ্তানিকারকরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি এবং লজিস্টিক জটিলতার মুখোমুখি হচ্ছেন।
ভারত ও বাংলাদেশ ৪,০৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত ভাগ করে, যা বিশ্বের পঞ্চম দীর্ঘতম স্থল সীমান্ত। বাংলাদেশের সীমান্ত ভারতের পাঁচটি রাজ্যের সঙ্গে সংযুক্ত। পূর্বে বাংলাদেশের পণ্য ভারতের একাধিক বন্দর দিয়ে প্রবেশ করত, কিন্তু নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে এখন শুধু কলকাতা এবং নাভা শেভা বন্দরের মাধ্যমে পণ্য পরিবহন সম্ভব। অন্যান্য বন্দর থেকে ট্রাকগুলো ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ঢাকার একজন ব্যবসায়ী আব্দুল করিম বলেন, “এই সিদ্ধান্ত আমাদের ব্যবসায় বড় ধরনের ক্ষতি করছে।” ভারতের এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষত তৈরি পোশাকের রপ্তানির উপর।