বাংলায় ঝড়-বৃষ্টির দাপট! ঘূর্ণিঝড়ের ছায়ায় কী অপেক্ষা করছে?

নিম্নচাপ অক্ষরেখার প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সময়কাল বেড়েছে। পাঞ্জাব থেকে উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত এই অক্ষরেখা দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির পরিবেশ তৈরি করেছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের রবিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গে এই আবহাওয়া ২২ মে (বৃহস্পতিবার) এবং উত্তরবঙ্গে ২১ মে (বুধবার) পর্যন্ত চলবে। সোমবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া এবং বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ও ৩০-৪০ কিমি বেগে হাওয়া বইবে। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সব জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
উত্তরবঙ্গে সোমবার মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির পাশাপাশি জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ৭-১১ সেমি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। মঙ্গলবার এই জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিমি বেগে ঝড় ও ভারী বৃষ্টির জন্য লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের গুজব থাকলেও, মৌসম ভবন জানিয়েছে, ২৩ মে পর্যন্ত ঘূর্ণাবর্ত ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে না। তবে, আরব সাগরে ২২-২৩ মে একটি ক্ষীণ ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এই আবহাওয়া কৃষি, যাতায়াত ও দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে, তাই সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।