বেঙ্গালুরুর ক্রুত্রিম এআই-তে টক্সিক কর্মসংস্কৃতি, নিখিল সোমবংশীর আত্মহত্যার পিছনে ম্যানেজারের নির্যাতন

বেঙ্গালুরুর অগারা লেকে গত ৮ মে ২৫ বছর বয়সী মেশিন লার্নিং ইঞ্জিনিয়ার নিখিল সোমবংশীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করলেও, সম্প্রতি রেডডিটে একটি ভাইরাল পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে, ওলার এআই ইউনিট ক্রুত্রিমের টক্সিক কর্মসংস্কৃতি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ম্যানেজার রাজকিরণ পানুগান্তির নির্যাতনের কারণে নিখিল আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন। এই ঘটনা ভারতের টেক শিল্পে কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
নিখিল সোমব ৯.৩০ জিপিএ নিয়ে ভারতীয় বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট (আইআইএসসি) থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করে ২০২৪ সালের আগস্টে ক্রুত্রিমে যোগ দেন। তবে, রেডডিট পোস্টে অভিযোগ করা হয়েছে, তাঁর উপর তিনজনের কাজের ভার চাপানো হয়েছিল, কারণ তাঁর দুই সহকর্মী ম্যানেজারের আচরণের কারণে পদত্যাগ করেছিলেন। “রাজকিরণ পানুগান্তি নতুন কর্মীদের সঙ্গে আঘাতমূলক ভাষা ব্যবহার করতেন এবং টক্সিক পরিবেশ তৈরি করতেন,” বলে দাবি করেন পোস্টকারী ‘কিরিগাওয়াকুজুতো’। প্রাক্তন কর্মীরা জানান, পানুগান্তি জুনিয়রদের অপমান করতেন এবং মিটিংয়ে মৌখিক নির্যাতন করতেন।
ক্রুত্রিমের মুখপাত্র বলেন, “নিখিলের মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত। তিনি ছিলেন আমাদের মূল্যবান সদস্য।” তারা জানায়, নিখিল ৮ এপ্রিল মানসিক বিশ্রামের জন্য ছুটি চেয়েছিলেন এবং ১৭ এপ্রিল আরও ছুটি বাড়ানো হয়। “আমরা তাঁর পরিবার ও কর্মীদের পাশে আছি এবং তদন্তে পুলিশকে সহযোগিতা করছি,” বলে তারা যোগ করে। তবে, প্রাক্তন কর্মীরা দাবি করেন, নিখিলের মৃত্যুর পরও ম্যানেজারের দুর্ব্যবহার অব্যাহত ছিল এবং কো ম্পা নি কোনো দায় স্বীকার করেনি।
এই ঘটনা ক্রুত্রিমের কর্মসংস্কৃতির উপর গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। প্রাক্তন কর্মীদের মতে, তীব্র কাজের চাপে অনেকে পদত্যাগ করেছেন, এমনকি কেউ কেউ আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে, তবে এই ঘটনা টেক শিল্পে মানসিক স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।