গাজায় ইসরায়েলের সীমিত মানবিক সহায়তার অনুমতি, ২০ লক্ষ ফিলিস্তিনির জন্য ত্রাণের আশা

তিন মাসের কঠোর নিষেধাজ্ঞার পর ইসরায়েল ১৯ মে ২০২৫-এ গাজায় সীমিত মানবিক সহায়তার অনুমতি দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, “গাজায় ভুখমরি সংকট এড়াতে আমরা জনগণের জন্য সীমিত পরিমাণ খাদ্য প্রবেশের অনুমতি দেব।” এই সিদ্ধান্ত গাজার ২১ লক্ষ ফিলিস্তিনির জন্য কিছুটা স্বস্তি আনতে পারে, যারা নরসংহার ও ভুখমরির শিকার। তবে, সহায়তা কবে থেকে পৌঁছাবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। নেতানিয়াহু জানান, “হামাসের হাতে সহায়তা যাতে না পড়ে, তা নিশ্চিত করা হবে।”
গত সপ্তাহে হামাসের সিনিয়র নেতা মাহমুদ মারদাউই জানিয়েছিলেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে সহায়তা প্রবেশের বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো হয়েছে। এর পরই হামাস আমেরিকান জিম্মি এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেয়। কিন্তু সহায়তা বিতরণের জন্য ইসরায়েল গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর মাধ্যমে একটি নতুন ব্যবস্থা চালু করতে চায়, যা জাতিসংঘ ও ত্রাণ সংস্থাগুলি প্রত্যাখ্যান করেছে। জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় কার্যালয়ের মুখপাত্র ওলগা চেরেভকো বলেন, “এই ব্যবস্থা মানবিক নীতির পরিপন্থী এবং জনগণের স্থানচ্যুতিকে উৎসাহিত করতে পারে।”
ইসরায়েল রবিবার থেকে গাজায় নতুন সামরিক অভিযান শুরু করেছে, যাতে উত্তর ও দক্ষিণ গাজায় ‘ব্যাপক’ জমি অভিযান অন্তর্ভুক্ত। হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের মতে, এই হামলায় কমপক্ষে ১০৩ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বহু শিশু রয়েছে। উত্তর গাজার প্রধান হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। সেনা প্রধান লেফটিনেন্ট জেনারেল ইয়াল জামির বলেন, “আমরা গাজাকে বিভক্ত করার পরিকল্পনা করছি।”
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির আলোচনা কাতারে চললেও কোনো চুক্তি হয়নি। ইসরায়েল অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চায়, যাতে জিম্মিদের মুক্তি সম্ভব হয়, কিন্তু যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা দেয় না। হামাস পুরো ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার ও যুদ্ধের অবসান চায়। আন্তর্জাতিক চাপ বাড়লেও গাজার মানবিক সংকট সমাধানের পথ এখনও অধরা।