রুপার চুড়ির জন্য মায়ের শেষকৃত্য বন্ধ, জয়পুরের ঘটনায় শিউরে উঠল গ্রাম

রাজস্থানের জয়পুর গ্রামীণ এলাকায় এক মর্মান্তিক ঘটনায় মানবিকতার অবক্ষয় প্রকাশ পেয়েছে। ৮০ বছর বয়সী ছিতের রেগরের মৃত্যুর পর তাঁর পঞ্চম পুত্র ওমপ্রকাশ মায়ের রুপার চুড়ির জন্য চিতায় শুয়ে শেষকৃত্য দুই ঘণ্টা আটকে রাখেন। ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে তীব্র ক্ষোভ ও শিউরে ওঠার মতো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
গত ৩ মে শাহপুরা তহসিলের কোটপুতলি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ছিতের রেগরের সাত ছেলের মধ্যে ছয়জন মায়ের সঙ্গে গ্রামে থাকলেও ওমপ্রকাশ তিন-চার বছর ধরে আলাদা থাকতেন। মায়ের মৃত্যুর খবরে গ্রামে ফিরে তিনি গয়নার ভাগ নিয়ে বিবাদ শুরু করেন। রীতি অনুযায়ী, মায়ের রুপার চুড়ি ও অলংকার বড় ছেলে গিরধারি লালকে দেওয়া হয়, যিনি মায়ের দেখভাল করতেন। এতে ক্ষিপ্ত ওমপ্রকাশ চিতায় শুয়ে পড়েন এবং হুমকি দেন, “চুড়ি না পেলে মায়ের সঙ্গে আমাকেও পুড়িয়ে ফেলতে হবে।” গ্রামবাসী ও স্বজনদের বোঝানো সত্ত্বেও তিনি অনড় থাকেন।
প্রায় দুই ঘণ্টার নাটকের পর গ্রামের প্রবীণরা ওমপ্রকাশকে চুড়ি দিয়ে চিতা থেকে নামান। দুপুরে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শেষকৃত্য বিকেলে সম্পন্ন হয়। স্থানীয় বাসিন্দা রামেশ্বর লাল বলেন, “ওমপ্রকাশ দীর্ঘদিন ধরে পরিবারের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে জড়িত। এমন কাণ্ড কেউ কল্পনাও করেনি।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় নেটিজেনরা এটিকে ‘মানবতার অবক্ষয়’ আখ্যা দিয়েছেন। একজন লিখেছেন, “মায়ের মৃত্যুতেও লোভের এই রূপ দেখে হৃদয় ভেঙে যায়।” পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি, তবে গ্রামে উত্তেজনা রয়েছে। এই ঘটনা সম্পত্তির লোভে পারিবারিক মূল্যবোধের পতনের এক নির্মম চিত্র তুলে ধরেছে।