অপারেশন সিন্দুর: শিবসেনার প্রতিনিধিদল নিয়ে রাউতের সমালোচনা, চতুর্বেদীর সমর্থন

অপারেশন সিন্দুর: শিবসেনার প্রতিনিধিদল নিয়ে রাউতের সমালোচনা, চতুর্বেদীর সমর্থন

অপারেশন সিন্দুরের প্রেক্ষাপটে ভারতের ৫৯ সদস্যের সাতটি সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাকিস্তান-পোষিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশের অবস্থান তুলে ধরতে যাচ্ছে। তবে এই উদ্যোগ নিয়ে শিবসেনা (ইউবিটি)-র দুই প্রধান নেতা সঞ্জয় রাউত ও প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীর মধ্যে তীব্র মতভেদ প্রকাশ পেয়েছে। রাউত যেখানে এই প্রতিনিধিদলকে “নাটক” ও “বিজেপির রাজনৈতিক চাল” বলে সমালোচনা করেছেন, সেখানে চতুর্বেদী এটিকে “জরুরি মিশন” হিসেবে সমর্থন করেছেন।
সঞ্জয় রাউত অভিযোগ করেছেন, সরকার সত্যিকারের সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল গঠন করেনি। তিনি বলেন, “টিএমসি, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডির মতো বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। সবাইকে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল।” তিনি আরও প্রশ্ন তুলেছেন, “এই প্রতিনিধিদল বিদেশে গিয়ে কী করবে? এটা কি পাকিস্তান ইস্যুকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তোলার চেষ্টা? পুতিন বা নেতানিয়াহু কখনো এমন প্রতিনিধিদল পাঠাননি। এটা কী নাটক?” রাউতের মতে, সরকারের উচিত ছিল কাশ্মীরে প্রতিনিধিদল পাঠানো এবং সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা।

অন্যদিকে, প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী, যিনি রবিশঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও ডেনমার্ক সফর করবেন, এই মিশনকে জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে দেখছেন। তিনি এক্স-এ লিখেছেন, “এটি আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদকে বিশ্বের সামনে উন্মোচন করার। আমরা সশস্ত্র বাহিনী ও সন্ত্রাসের শিকারদের পক্ষে এই লড়াই চালাচ্ছি।” তিনি উল্লেখ করেন, ভারত নাগরিকদের ক্ষতি না করে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস করেছে, যা বিশ্বকে জানানো দরকার।

এই মতভেদ শিবসেনা (ইউবিটি)-র অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের ইঙ্গিত দেয়। রাউত সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেও চতুর্বেদী জাতীয় স্বার্থে এই কূটনৈতিক পদক্ষেপের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এই দ্বিমত বিরোধী শিবিরে সমন্বয়ের অভাব এবং কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যকে প্রকাশ করে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *