ইউনুসের বিরুদ্ধে সেনার বড় পদক্ষেপ, বাংলাদেশে কি আবারও তখতপালট?

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুসের অতিরিক্ত কৌশলী পদক্ষেপ তাঁর জন্যই বিপদ ডেকে আনছে। ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছেন এবং অভিযোগ উঠেছে যে তাঁর পেছনে আমেরিকার সমর্থন রয়েছে। এই তিন দেশের সঙ্গে জোট বাঁধিয়ে ইউনুস বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখছেন বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ইউনুসের হাত থেকে দেশের নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নিতে পারে।
ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) শনিবার (১৭ মে, ২০২৫) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “যে কোনো কার্যকলাপ যা জনগণের অসুবিধার কারণ হয়, জনস্বার্থের বিরুদ্ধে যায় বা সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করে, তা গ্রহণযোগ্য নয়।” দেশে ক্রমশ অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী দেশের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি ইউনুসের জন্য একটি অশনি সংকেত। ইউনুস দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা করেননি, এবং ঘোষণা করলেও তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীই তাঁর একমাত্র প্রতিবন্ধক হয়ে উঠতে পারে।
অন্যদিকে, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তাঁর ক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করছেন। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তিনি আমেরিকায় পাঁচ দিনের সফরে গিয়ে মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই সফর তাঁর কৌশলগত প্রভাব বাড়ানোর প্রচেষ্টার অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। ইউনুস যখন দেশে-বিদেশে নিজের অবস্থান শক্ত করতে ব্যস্ত, তখন সেনাপ্রধানও আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করে নিজের পায়ের তলার মাটি মজবুত করছেন।
শেখ হাসিনার তখতপালটের পর থেকে ইউনুস ক্ষমতায় রয়েছেন, কিন্তু দেশের আইনশৃঙ্খলা ক্রমশ ভেঙে পড়ছে। জনগণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান হতাশা এবং নির্বাচনের অনিশ্চয়তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে। সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক পদক্ষেপ এবং আইএসপিআর-এর বিবৃতি ইঙ্গিত দেয় যে আরেকটি তখতপালটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ইউনুসের ক্ষমতার দিন গোনা শুরু হয়েছে কি? সময়ই বলবে।