অখিলেশের বিরুদ্ধে মৈনপুরীতে ব্রাহ্মণ সমাজের প্রতিবাদ, পাঠকের ডিএনএ নিয়ে মন্তব্যে তীব্র ক্ষোভ

অখিলেশের বিরুদ্ধে মৈনপুরীতে ব্রাহ্মণ সমাজের প্রতিবাদ, পাঠকের ডিএনএ নিয়ে মন্তব্যে তীব্র ক্ষোভ

মৈনপুরী, ১৯ মে ২০২৫: উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠকের বিরুদ্ধে সমাজবাদী পার্টির (সপা) সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে করা আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। মৈনপুরীতে ব্রাহ্মণ সমাজের ক্ষোভ উপচে পড়ে, এবং সর্ব ব্রাহ্মণ সমাজের নেতৃত্বে শহরের রোডওয়েজ বাসস্ট্যান্ডে সপা সভাপতি অখিলেশ যাদবের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। প্রতিবাদকারীরা অখিলেশের বিরুদ্ধে তীব্র স্লোগান দিয়ে অভিযোগ করেন, “সপা’র ভাষা সমাজকে বিভক্ত করছে। এটি ব্রাহ্মণ সমাজের অপমান।”

সর্ব ব্রাহ্মণ সমাজের জাতীয় সভাপতি রমেশ চন্দ্র পাণ্ডে কঠোর ভাষায় বলেন, “ব্রাহ্মণ সমাজের অপমান আর সহ্য করা হবে না। অখিলেশ যদি তাঁর মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা না চান, তবে রাজ্যজুড়ে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হবে।” মৈনপুরীর সমাজসেবী আশুতোষ মিশ্র আরও বলেন, “অখিলেশ যাদবের ভাষা ও কার্যশৈলীতে সংযম প্রয়োজন। ব্রজেশ পাঠক কেবল ব্রাহ্মণ নন, তিনি সর্বসমাজের নেতা, যিনি সকলকে একসঙ্গে নিয়ে চলেন। এমন মন্তব্য সমগ্র সমাজের অপমান।” তিনি সপা’কে ভবিষ্যতে এমন ভাষা ব্যবহারে কঠোর পরিণতির হুঁশিয়ারি দেন।

বিষয়টি তীব্রতর হওয়ার পর সপা’র আইটি সেল তাদের এক্স পোস্টটি মুছে ফেললেও, ব্রজেশ পাঠক পোস্টটির স্ক্রিনশট শেয়ার করে প্রতিক্রিয়া দেন। তিনি লেখেন, “অখিলেশজি, এটি কি আপনার দলের ভাষা? এটি আপনার অফিসিয়াল হ্যান্ডেল! কারও প্রয়াত মা-বাবার জন্য এমন শব্দচয়ন? আপনি আপনার দলকে এই স্তরে নিয়ে এসেছেন?” এই ঘটনায় লখনঊয়ের হজরতগঞ্জ থানায় সপা মিডিয়া সেলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে, এবং বিজেপি কর্মীরা অখিলেশের পুত্তলিকা দাহ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

এই বিতর্ক উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে নতুন মোড় এনেছে। অখিলেশ যাদব এক্স-এ পাঠককে চিঠি লিখে বলেছেন, “আপনি আগে এমন ছিলেন না। আমার ডিএনএ নিয়ে মন্তব্য যদুকুলের অপমান।” তিনি দুই পক্ষকেই সংযমের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে, বিজেপি নেতারা এটিকে সপা’র “নিম্নমানের রাজনীতি” হিসেবে আখ্যায়িত করে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছেন। মৈনপুরীতে প্রতিবাদকারীরা বলছেন, “অখিলেশকে তাঁর নিজের গড়ে এবং সর্বত্র বিরোধিতার মুখোমুখি হতে হবে।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *