রাজস্থান রয়্যালস কি হারাবে বৈভব সূর্যবংশীকে? মিনি নিলাম ও ট্রেড উইন্ডোর ভূমিকা

আইপিএল ২০২৫-এর মেগা নিলামে রাজস্থান রয়্যালস ১.১০ কোটি টাকায় ১৩ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশীকে দলে নিয়েছিল। তবে, কি কারণে তিনি আগামী মৌসুমে রাজস্থানের জার্সিতে খেলতে নাও পারেন? এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে আইপিএলের মিনি নিলাম ও ট্রেড উইন্ডোর নিয়মে। এই নিয়ম শুধু বৈভব নয়, অন্য দলের খেলোয়াড়দেরও দল ছাড়ার সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।
মিনি নিলামের নিয়ম
মেগা নিলাম প্রতি তিন বছরে একবার হলেও, মিনি নিলাম প্রতি মৌসুমের আগে হয়। এতে রিটেনশনের ক্ষেত্রে মেগা নিলামের মতো সংখ্যাগত সীমাবদ্ধতা থাকে না। দলগুলো চাইলে অনেক খেলোয়াড়কে রিটেন করতে পারে, ফলে এই নিলামে কম খেলোয়াড় বিক্রি হয় এবং এটি এক দিনেই শেষ হয়। রাজস্থান যদি বৈভবকে রিটেন করে, তবে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু রিটেন না করলে, তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখে অন্য দলগুলো তাঁকে কিনতে আগ্রহী হবে। মিনি নিলামে এমন হলে রাজস্থানের কাছে রাইট-টু-ম্যাচ (আরটিএম) কার্ডও থাকবে না, কারণ তারা ইতিমধ্যে ছয়জন খেলোয়াড় রিটেন করেছে। তবে বৈভবের মতো প্রতিভাবান খেলোয়াড়কে রাজস্থান ছাড়বে বলে মনে হয় না।
ট্রেড উইন্ডোর ভূমিকা
মিনি নিলামের সময় দলগুলোর কাছে ট্রেড উইন্ডোর সুযোগ থাকে, যা দুইবার খোলে: আইপিএল মৌসুম শেষের এক মাস পর থেকে মিনি নিলামের এক সপ্তাহ আগে এবং নিলামের পর থেকে নতুন মৌসুম শুরুর আগে। এই সময়ে অন্য দলগুলো বৈভবের প্রতি আগ্রহ দেখাতে পারে এবং ট্রেডের মাধ্যমে তাঁকে নিতে পারে। অতীতে বড় খেলোয়াড়দের ট্রেড হতে দেখা গেছে। তবে, বৈভব এখন রাজস্থানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়, তাই তাঁকে ট্রেড করার সম্ভাবনা কম। তাঁর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স, যেমন পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ১৫ বলে ৪০ রান এবং সিএসকে-র বিরুদ্ধে ২৮ বলে ৫৩ রান, তাঁর মূল্য প্রমাণ করে।