পাকিস্তানের বেপরোয়া হামলার জবাবে ভারত চালালো ‘অপারেশন সিন্দুর’, সেনা কর্তার বিশদ ব্যাখ্যা

পাকিস্তানের বেপরোয়া হামলার জবাবে ভারত চালালো ‘অপারেশন সিন্দুর’, সেনা কর্তার বিশদ ব্যাখ্যা

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক যখন নতুন করে উত্তপ্ত, তখন সীমান্তে ঘটে গেল এক গুরুত্বপূর্ণ সামরিক প্রতিক্রিয়া। ৬-৭ মে রাতের ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর মাধ্যমে ভারতীয় সেনা ধ্বংস করে দিল পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। এই অভিযান ছিল সম্প্রতি কাশ্মীরের পহেলগাঁও-তে নিরপরাধ পর্যটকদের ওপর হামলার জবাব, যেখানে ধর্ম দেখে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল জঙ্গিরা।

সেনার এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “এটি ছিল আমাদের কড়া বার্তা—তারা যদি আমাদের ওপর গুলি চালায়, তবে ভারতীয় সেনা পুরো শক্তিতে জবাব দেবে।” তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তান যখন আমাদের সামরিক পোস্টে ব্যর্থ হামলা চালাল, তখন তারা সাধারণ মানুষ এবং ধর্মীয় স্থাপনাকেই টার্গেট করতে শুরু করে। সেটাই ছিল তাদের ভয়ঙ্কর কৌশল।”

সুনিপুণ পরিকল্পনায় চালানো হয় অপারেশন সিন্দুর

সেনা কর্মকর্তা জানান, সীমান্তের ফরওয়ার্ড পোস্টে তিনি নিজেই কো ম্পা নি কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন। ড্রোন, উচ্চক্ষমতার নজরদারি যন্ত্র এবং ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার প্রযুক্তি ব্যবহার করে শত্রুর প্রতিটি গতিবিধি নজরে রাখা হয়। “আমরা ড্রোন-জ্যামিং ও স্পুফিংও ব্যবহার করেছি। প্রতিটি শত্রু পোস্ট ধ্বংস করা হয়েছে,” বলেন তিনি।

অপারেশন সিন্দুরের ফলে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া ছিল বেপরোয়া। তারা সীমান্তে গুলিবর্ষণ শুরু করে, যার জবাবে ভারত আরও কড়া প্রতিরোধ দেয়। পরে দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হলেও, ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে—সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি থেকে একচুলও সরে আসবে না।

সীমান্তে সেনার নজরদারি এখন আরও জোরদার, এবং দেশজুড়ে সেনার প্রস্তুতি রয়েছে সর্বোচ্চ স্তরে। “এলওসি এখন আমাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে, পাকিস্তানের আগ্রাসনের সব জবাব মিলবে সময় মতো,” বলছে সেনা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *