রাহু-কেতুর সম্পূর্ণ কুণ্ডলী: কার সঙ্গে শত্রুতা, কাকে ভয় পায়?

রাহু-কেতুর গোচর ও পরিচয়
১৮ মে, ২০২৫-এ রাহু ও কেতু গোচর করেছে। এই দুই ছায়া গ্রহের নিজস্ব কোনো রাশি নেই, তবে বক্রী গতিতে প্রতিটি রাশিতে ১৮ মাস থাকে। জ্যোতিষশাস্ত্রে রাহু ও কেতুকে ভয়ঙ্কর গ্রহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তবে এরাও ভগবান বিষ্ণুকে ভয় পায়। শাস্ত্র অনুসারে, ভগবান বিষ্ণুই সুদর্শন চক্র দিয়ে রাহু-কেতুকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছিলেন।
রাহু-কেতুর জন্মকথা
পুরাণ অনুসারে, রাহুর আসল নাম ছিল স্বরভানু। তার মায়ের নাম সিংহিকা, বাবার নাম বিপ্রচট্টি। সিংহিকা ছিলেন হিরণ্যকশ্যপের কন্যা। রাহুর এক বোন মাহিষ্মতী এবং ১০০ ভাইয়ের মধ্যে স্বরভানু ছিলেন বড়। সমুদ্র মন্থনের সময় অমৃত প্রাপ্তির জন্য দেবতা ও অসুরদের মধ্যে বিরোধ হয়। ভগবান বিষ্ণু মোহিনী রূপে দেবতাদের অমৃত ও অসুরদের মদিরা বিতরণ করেন। কিন্তু স্বরভানু ছল করে দেবতাদের পঙক্তিতে সূর্য ও চন্দ্রের মাঝে বসে অমৃত পান করে। সূর্য-চন্দ্র তা জানিয়ে দিলে বিষ্ণু সুদর্শন চক্রে তার মাথা ও ধড় বিচ্ছিন্ন করেন। অমৃত পানের কারণে স্বরভানু অমর হয়ে যায়। ব্রহ্মা তাকে ছায়া গ্রহ হিসেবে রাহু (মাথা) ও কেতু (ধড়) নামে ঘোষণা করেন।
সূর্য-চন্দ্রের সঙ্গে শত্রুতা
সূর্য ও চন্দ্রের কারণে স্বরভানু শাস্তি পেয়েছিল, তাই জ্যোতি শাস্ত্রে রাহু-কেতুর সঙ্গে এদের শত্রুতা রয়েছে। রাহুর আরেক শত্রু মঙ্গল।
রাহুর প্রভাব
রাহু কালো বর্ণের, ভয়ঙ্কর মুখবিশিষ্ট এবং কালো বস্ত্র ও মালা পরে। এর অশুভ প্রভাবে চিন্তা দূষিত হয়, মানসিক চাপ বাড়ে, স্বাস্থ্য নষ্ট হয়। শুভ প্রভাবে ব্যক্তি বাকপটু, তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন এবং উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হয়।
কেতুর প্রভাব
কেতুর অশুভ প্রভাবে ব্যক্তি ক্রোধী ও কঠোর হয়। শুভ প্রভাবে নির্ভীকতা আসে এবং গুরুর (বৃহস্পতি) সঙ্গে যুতি হলে রাঙ্ক থেকে রাজা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।