পেটের সমস্যায় জর্জরিত ভারত! আপনিও কি IBS-এর শিকার?

ভারতের প্রায় ১০% মানুষ ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (IBS) নামক পাকস্থলীর রোগে ভুগছেন, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। পেটে ব্যথা, গ্যাস, ফোলাভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়ার মতো লক্ষণগুলো যদি আপনার নিত্যসঙ্গী হয়ে থাকে, তবে এটি হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। এই রোগে অন্ত্র-মস্তিষ্কের সংযোগে সমস্যা হয়, যার ফলে পাকস্থলী অতিরিক্ত সংবেদনশীল হয়ে খাবার, মানসিক চাপ বা সংক্রমণের প্রতি তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়। আইবিএস-এর প্রধান ধরনগুলোর মধ্যে রয়েছে ডায়রিয়া-প্রধান (আইবিএস-ডি), কোষ্ঠকাঠিন্য-প্রধান (আইবিএস-সি), মিশ্র (আইবিএস-এম) এবং অস্পষ্ট লক্ষণযুক্ত (আইবিএস-ইউ)। এই লক্ষণগুলো খাওয়ার পর বা মানসিক চাপের সময় আরও তীব্র হতে পারে। যদিও এই রোগে অন্ত্রে কোনো স্পষ্ট ক্ষতি হয় না, তবে দীর্ঘমেয়াদি অস্বস্তি জীবনযাত্রার মান নষ্ট করে।
এই রোগের প্রকোপ বাড়ার পিছনে ভারতীয় খাদ্যাভ্যাস, মশলাদার ও FODMAP সমৃদ্ধ খাবার (যেমন পেঁয়াজ, রসুন, ডাল), চাপপূর্ণ জীবনধারা, ঘুমের অভাব এবং ব্যায়ামের অভাব দায়ী। শহরাঞ্চলে প্রক্রিয়াজাত খাবারের ব্যবহার এবং বসে থাকা জীবনযাত্রাও এই সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলছে। চিকিৎসার জন্য কোনো নির্দিষ্ট পরীক্ষা না থাকলেও গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্টরা লক্ষণের ভিত্তিতে এটি নির্ণয় করেন। উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার, প্রচুর জল পান, কম-FODMAP ডায়েট এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। দুধ, সোডা বা গ্যাস-সৃষ্টিকারী খাবার এড়িয়ে চলাও গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে এই রোগের প্রভাব কমানো সম্ভব।