ইরানের পারমাণবিক ঘাঁটিতে ইসরায়েলের হামলার ছক?

মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনার আগুন জ্বলতে চলেছে। আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করছে। এই পরিকল্পনা এখনও চূড়ান্ত না হলেও, ওয়াশিংটনে এ নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। ইরানের নাতানজ, ফোরডো, ইসফাহান ও খোন্দাবের মতো স্থাপনাগুলি ইসরায়েলের লক্ষ্য হতে পারে, যার মধ্যে অনেকগুলো ভূগর্ভস্থ এবং আক্রমণ করা অত্যন্ত কঠিন। ইউটাহ বিশ্ববিদ্যালয় ও ওমিদ ইনস্টিটিউটের গবেষণা বলছে, এমন হামলায় ৫,০০০ থেকে ৮০,০০০ মানুষ নিহত হতে পারে, এবং তেজস্ক্রিয়তার কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বিপন্ন হবে। এই ধ্বংসযজ্ঞ ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডি বা চেরনোবিলের মতো বিপর্যয়ের সঙ্গে তুলনীয় হতে পারে। ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা, যেমন ২৭৫ কেজি ৬০% সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম, ছয়টি বোমা তৈরির সম্ভাবনা তৈরি করেছে, যা ইসরায়েলের উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
ইসরায়েলের হামলা সফল হলেও এর পরিণতি ভয়াবহ হবে। ইরান প্রতিশোধ হিসেবে আমেরিকার উপসাগরীয় ঘাঁটি এবং ইসরায়েলি শহরগুলিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের ভূগর্ভস্থ স্থাপনাগুলি ধ্বংস করতে বাঙ্কার-ভাঙা বোমার প্রয়োজন, যা ইসরায়েলের কাছে থাকার সম্ভাবনা কম। এদিকে, কাতারের মতো মিত্র দেশ এই হামলাকে সমর্থন নাও করতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারমাণবিক চুক্তি বাতিলের পর এই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। যদি হামলা ঘটে, তবে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন যুদ্ধের সূচনা হতে পারে, যা বিশ্বব্যাপী সংকট সৃষ্টি করবে। ইরানের তেজস্ক্রিয়তা মোকাবেলার অপ্রতুল ব্যবস্থা এই বিপর্যয়কে আরও ভয়াবহ করে তুলতে পারে।