মোদী সরকারকে ঘিরতে কংগ্রেসের ‘টিম-১৪০’ প্রশিক্ষণ, ২৩ মে বড় বৈঠক

মোদী সরকারকে ঘিরতে কংগ্রেসের ‘টিম-১৪০’ প্রশিক্ষণ, ২৩ মে বড় বৈঠক

কংগ্রেস মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ আরও তীব্র করতে নতুন কৌশল প্রণয়ন করেছে। এর অংশ হিসেবে ২৩ মে, ২০২৫-এ দিল্লিতে দেশজুড়ে কংগ্রেসের প্রায় ১৪০ জন মুখপাত্র ও মিডিয়া প্যানেলিস্টের একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। এই বৈঠকের উদ্দেশ্য হল মোদী সরকারের বিদেশ নীতি, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ, বিদেশে প্রতিনিধি দল পাঠানো এবং বিরোধীদের প্রশ্ন এড়াতে সর্বদলীয় বৈঠক বা সংসদ অধিবেশন না ডাকার বিষয়ে মুখপাত্রদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। বৈঠকে জয়রাম রমেশ, পবন খেড়া, সুপ্রিয়া শ্রীনেত-সহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা বক্তৃতা দেবেন। রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও সম্ভবত এই বৈঠকে বক্তৃতা দেবেন।

অমিত মালবিয়া ও বিদেশমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
বুধবার (২১ মে, ২০২৫) কংগ্রেসের যুব শাখা বিজেপি’র আইটি সেল প্রধান অমিত মালবিয়ার বিরুদ্ধে দিল্লিতে প্রতিবাদ প্রদর্শন করে। অক্ষয় লাকড়ার নেতৃত্বে এই প্রতিবাদে অভিযোগ করা হয়, মালবিয়া রাহুল গান্ধীর মুখের সঙ্গে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের ছবি জুড়ে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। লাকড়া বলেন, “আমরা এই অপমানজনক পোস্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাছে দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পুলিশ আমাদের তাঁর বাসভবনের দিকে যেতে বাধা দিয়েছে।” প্রতিবাদকারীরা মালবিয়া ও জয়শঙ্করের মুখোশ পরে স্লোগান দেন।
ইন্ডিয়া ব্লক নিয়ে সুপ্রিয়া শ্রীনেতের মন্তব্য
কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনেত একটি এক্স পোস্টে বলেন, “বিজেপি ‘ইন্ডিয়া’ শব্দটির প্রতি ঘৃণা পোষণ করে, তাহলে তারা পাকিস্তানে চলে যাক। বিজেপি তো পাকিস্তানপন্থী। যে ইন্ডিয়া ব্লকের সাংসদদের ছাড়া তাদের চলছে না, যাদের সামনে রেখে বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলতে হচ্ছে, তাদের নিয়ে এত ঘৃণা?” তিনি বিজেপি নেতাদের ‘মূর্খদের দল’ বলে কটাক্ষ করেন।
প্রেক্ষাপট ও রাজনৈতিক উত্তেজনা
কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে চলমান মৌখিক যুদ্ধ এবং পোস্টার যুদ্ধ তীব্র হয়েছে। পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং কংগ্রেস মোদী সরকারের বিদেশ নীতির সমালোচনায় মুখর। তারা অভিযোগ করেছে, সরকার সংসদ অধিবেশন এড়িয়ে বিরোধীদের প্রশ্ন এড়াচ্ছে। এই বৈঠকের মাধ্যমে কংগ্রেস তাদের মুখপাত্রদের এই ইস্যুতে আরও আক্রমণাত্মক ও কৌশলগতভাবে প্রস্তুত করতে চায়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *