ইউনূসের শাসনে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তাহীনতা, বাংলাদেশে বাড়ছে অস্থিরতা

বাংলাদেশে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনকালে ব্যবসা-বাণিজ্য নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছিল, যা দেশটিকে দারিদ্র্যমুক্তির স্বপ্ন দেখিয়েছিল। কিন্তু মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের উপর চাঁদাবাজি ও নিরাপত্তাহীনতার কালো ছায়া পড়েছে। বুধবার ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এক বৈঠকে এই সংকটকে ‘ব্যবসার জন্য নাসূর’ হিসেবে আখ্যায়িত করে সরকারের ব্যর্থতার তীব্র সমালোচনা করেছে।
ডিসিসিআই সভাপতি তাসকিন আহমেদ বলেন, “চাঁদাবাজি ব্যবসায়ীদের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি আট মাস পেরিয়ে গেলেও ব্যবসায়ীরা নির্ভয়ে কাজ করতে পারছেন না।” ইউনূস সরকার বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ আকর্ষণের প্রতিশ্রুতি দিলেও দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাসকিন সরকারের কাছে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার পাশাপাশি দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে কঠোর আইন প্রণয়নের আহ্বান জানান।
চাঁদাবাজি ছাড়াও ব্যবসায়ীদের জন্য আরও বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অনলাইন প্রতারণা, পণ্য পরিবহনে হুমকি, জালিয়াতি এবং সাইবার অপরাধ। তাসকিন আহমেদ বলেন, “গার্মেন্টস খাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হলেও ৫০ থেকে ১০০ জন কর্মী নিয়োগকারী ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলো প্রায়শই উপেক্ষিত হয়।” এই আসাম প্রতিক্রিয়া বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে।
ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে কেবল জনগণ বা সেনাবাহিনীই নয়, এখন ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ও ক্ষুব্ধ। বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন, পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি না হলে বাংলাদেশ আরেকটি রাজনৈতিক অস্থিরতার মুখোমুখি হতে পারে। ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা ও আস্থা ফিরিয়ে আনতে সরকারের কাছে সময় কম, চ্যালেঞ্জ বেশি।