ভারত-মিশরের ৩৬ হাজার কোটির বাণিজ্য, পাকিস্তানের নতুন মিত্রের ছায়া

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সম্প্রতি মিশরের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ফোনে কথা বলে সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন, যা ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পাশে মিশরের অবস্থান স্পষ্ট করে। চীন, তুরস্ক ও আজারবাইজানের পর এবার মিশর পাকিস্তানের নতুন মিত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। গত ১২ মে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, মিশরের একটি কার্গো বিমান পাকিস্তানে পৌঁছেছে, যা ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে সমর্থনের ইঙ্গিত দেয়। তবে, ভারত ও মিশরের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের গভীরতা অনেক বেশি। ২০২৪ সালে দুই দেশের মধ্যে ৩৬ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে, যা এই সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে।
ভারত ও মিশর আগামী পাঁচ বছরে তাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়েছে, যা ২০২৪ সালের ৪.২ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় তিনগুণ বৃদ্ধি। মিশরের বিনিয়োগ ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী হাসান আল-খাতিব গত মার্চে ভারত সফরে এসে এই সম্পর্ক জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মিশর পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, ফার্মাসিউটিক্যাল, আইটি ও টেক্সটাইল খাতে ভারতীয় বিনিয়োগ বাড়াতে চায়। ডেইলি নিউজ মিশরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে দুই দেশের বাণিজ্য ৭.২৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারত মিশরে ২৪২ মিলিয়ন ডলারের মহিষের মাংস, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য ও তুলার সুতা রপ্তানি করেছে, অন্যদিকে মিশর থেকে পেট্রোলিয়াম, সার ও ক্রুড তুলা আমদানি করেছে।
প্রায় ৫৫টি ভারতীয় কো ম্পা নি মিশরে ৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে, যা ৩৮,০০০ মিশরীয় নাগরিকের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। টেক মাহিন্দ্রার মতো কো ম্পা নি ২০২২ সালে মিশরে গ্লোবাল ডেলিভারি সেন্টার স্থাপন করেছে। অন্যদিকে, মিশরের বিনিয়োগ ভারতে ৩৭ মিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে এলসেওয়েদি গ্রুপ ও কেএপিসিআই কোটিংসের মতো প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ভারত-মিশর সম্পর্কের এই গভীরতা পাকিস্তানের নতুন মিত্রতার পটভূমিতে আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।