ইউনুস কি পুতুল মাত্র? সেনাপ্রধানের নির্বাচনের দাবিতে বাংলাদেশে অস্থিরতার ছায়া

ঢাকা, ২২ মে ২০২৫: শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসা মুহাম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার পাকিস্তানের ছায়ায় পড়ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। পাকিস্তানের সেনাপ্রধানদের মতোই বাংলাদেশের সেনাবাহিনীও ক্ষমতার খেলায় নামতে চাইছে। তখতপাল্টের ১০ মাস পরও দেশে সাধারণ নির্বাচন না হওয়ায় জনগণ ও ছাত্রদের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও ইউনুসের প্রতি ক্ষুব্ধ। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বুধবার ঢাকার সেনাপ্রাঙ্গণে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বলেন, “দেশে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত।” তিনি স্পষ্ট করে জানান, শুধুমাত্র নির্বাচিত সরকারই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে পারে।
ইউনুস সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছে, যা ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ। এই পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী জনগণের ক্ষোভের সুযোগ নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পাকিস্তানের ইতিহাসে কোনো প্রধানমন্ত্রী তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারেননি, এবং বাংলাদেশের সেনাবাহিনীও একই পথে হাঁটতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। একটি সূত্র জানায়, জেনারেল ওয়াকার বৈঠকে বলেছেন, “অনির্বাচিত সিদ্ধান্তকারীদের দ্বারা দেশ চলতে পারে না। আমাদের প্রাথমিক দায়িত্বে ফিরতে হবে।” তিনি ইউনুস সরকারের উপর স্পষ্ট চাপ সৃষ্টি করেছেন।
ইউনুস সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পরিবর্তে সেনাবাহিনীকে বেসামরিক কাজে নিয়োজিত করেছে, যা সেনাপ্রধানের ক্ষোভের আরেকটি কারণ। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন বেসামরিক কাজে সেনাবাহিনীকে নিয়োজিত রাখলে প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।” এই অসন্তোষ সেনাবাহিনীর মধ্যে তখতপাল্টের গুঞ্জনকে আরও জোরদার করছে। সামাজিক মাধ্যমে এই বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে, যদিও ইউনুস ও সেনাবাহিনী উভয়ই এই গুঞ্জনকে “মিথ্যা ও বানোয়াট” বলে খারিজ করেছে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ভারতের জন্য উদ্বেগের বিষয়। পাকিস্তানের সঙ্গে ইউনুস সরকারের ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতা এবং সেনাবাহিনীর অসন্তোষ একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয়। বিশ্লেষক সুদীপ্ত মুখার্জি বলেন, “ইউনুসের নেতৃত্বে দেশ অস্থিরতার দিকে যাচ্ছে। সেনাবাহিনী যদি পাকিস্তানের পথ অনুসরণ করে, তবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আরও জটিল হবে।”