বৈভব সূর্যবংশী: ১২২ বলে ২৪ ছক্কা, ঋষভ পন্তের রেকর্ডের সমান, এবার অভেদ্য লক্ষ্য

বৈভব সূর্যবংশী: ১২২ বলে ২৪ ছক্কা, ঋষভ পন্তের রেকর্ডের সমান, এবার অভেদ্য লক্ষ্য

জয়পুর, ২২ মে ২০২৫: মাত্র ১৪ বছর বয়সে রাজস্থান রয়্যালসের বৈভব সূর্যবংশী আইপিএল ২০২৫-এ ছক্কার ঝড় তুলে ক্রিকেট বিশ্বকে তাক লাগিয়েছেন। মাত্র ১২২ বলে ২৫২ রান করে তিনি ২৪টি ছক্কা মেরেছেন, যা ২০ বছরের কম বয়সে এক আইপিএল মরশুমে সর্বাধিক ছক্কার রেকর্ডের সমান। এই রেকর্ডটি এতদিন ছিল ঋষভ পন্তের দখলে, যিনি ২০১৭ সালে ২২১ বলে ২৪ ছক্কা মেরেছিলেন। বৈভবের এই কীর্তি মাত্র ৭ ম্যাচে এসেছে, যা তার পাওয়ার-হিটিংয়ের ক্ষমতাকে তুলে ধরে। এক্স-এ একজন ভক্ত লিখেছেন, “ইশান্ত শর্মার মতো অভিজ্ঞ বোলারকে এক ওভারে চার ছক্কা! বৈভব একটা ঝড়।”

বৈভবের এই অসাধারণ পারফরম্যান্স এপ্রিলে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে তার ৩৫ বলে সেঞ্চুরির ধারাবাহিকতা। সেই ম্যাচে তিনি ১১টি ছক্কা ও ৭টি চার মেরে ৩৮ বলে ১০১ রান করেন, যা আইপিএলের দ্বিতীয় দ্রুততম এবং ভারতীয়দের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরি। তিনি বিশ্বের সেরা বোলারদের মতো রশিদ খান, ইশান্ত শর্মা ও মহম্মদ সিরাজকে নির্মমভাবে আক্রমণ করেন। রাজস্থানের কোচ রাহুল দ্রাবিড় তাকে স্ট্যান্ডিং ওভেশন দিয়েছিলেন। তবে, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে পরবর্তী ম্যাচে তিনি দুই বলে শূন্য রানে আউট হন, যা ক্রিকেটের উত্থান-পতনের প্রমাণ।

১৪ বছর ৩২ দিন বয়সে বৈভব টি-২০ ক্রিকেটে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান, ভেঙে দিয়েছেন বিজয় জোলের ১৮ বছরের রেকর্ড। তিনি আইপিএলের সর্বকনিষ্ঠ ডেবিউট্যান্টও, ১৪ বছর ২৩ দিনে। বৈভবের স্ট্রাইক রেট ২০৬.৫৫, এবং তার ২৪ ছক্কা তাকে ঋষভ পন্তের পাশে নিয়ে গেছে। আগামী পাঁচটি আইপিএল মরশুমে তিনি পুরো ম্যাচ খেললে এমন একটি রেকর্ড গড়তে পারেন, যা হয়তো কখনো ভাঙবে না। ক্রিকেট বিশ্লেষক সুদীপ্ত মুখার্জি বলেন, “বৈভবের ব্যাট সুইং এবং নির্ভীক মনোভাব তাকে ক্রিকেটের পরবর্তী বড় নাম করে তুলবে।”
বিহারের সমস্তীপুরের তাজপুর গ্রামের এই কিশোর ক্রিকেটের দুনিয়ায় ঝড় তুলেছে। তার পিতা সঞ্জীবের তত্ত্বাবধানে চার বছর বয়স থেকে ক্রিকেট শুরু করা বৈভব ১২ বছরে রঞ্জি ট্রফিতে খেলেছেন। আইপিএল ২০২৫-এ তিনি ১.১ কোটি টাকায় রাজস্থানের হয়ে চুক্তিবদ্ধ হন। তার এই উত্থান ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন প্রজন্মের সম্ভাবনাকে তুলে ধরছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *