ভারতের মিয়াজাকি আম জাপানের স্টেটাস সিম্বল, রপ্তানিতে বড় সাফল্য

ভারতের মিয়াজাকি আম জাপানের স্টেটাস সিম্বল, রপ্তানিতে বড় সাফল্য

ভারত, ফলের রাজা আমের রপ্তানিতে বিশ্বে শীর্ষে। প্রতি বছর ৫০ হাজার টনের বেশি আম আমেরিকা, ইউরোপ ও জাপানে রপ্তানি হয়। সফেদা, মালদা, দশেরি, সিন্দুরি, কেশরি, আলফনসো, রাটৌলের মতো অসংখ্য জাতের পাশাপাশি একটি বিশেষ আম, মিয়াজাকি, প্রায় পুরোটাই জাপানে রপ্তানি হয়। এর দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ২.৫ থেকে ৩.৫ লাখ টাকা প্রতি কেজি!

মিয়াজাকি আমের বিশেষত্ব: মূলত জাপানের মিয়াজাকি প্রদেশের এই আম ভারতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। এর বাইরের আবরণ হালকা বেগুনি, স্বাদে অতুলনীয় এবং টেক্সচার মসৃণ। ভারতের দক্ষিণাঞ্চল, বিশেষ করে পশ্চিম ও পূর্ব ঘাটের জলবায়ু এই আম চাষের জন্য আদর্শ। পুনে, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক ও উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলে এর চাষ হয়। জাপানে এটি ‘তাইয়ো নো তামাগো’ বা ‘সূর্যের ডিম’ নামে পরিচিত, কারণ এর গাঢ় লাল-বেগুনি রঙ এবং সূর্যের আলো ও বৃষ্টিতে পাকার প্রক্রিয়া।

চাষ ও রপ্তানি: মিয়াজাকি আমের চাষে প্রচুর যত্ন প্রয়োজন। প্রতিটি আম জাল দিয়ে ঢেকে রোদ ও বৃষ্টির নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে উৎপন্ন হয়। জাপানে কঠোর মান পরীক্ষার পর ‘এগ অফ দ্য সান’ ক্যাটাগরির আম নিলামে ৩,০০০ ডলার পর্যন্ত বিক্রি হয়। ২০২৩-এ ভারত জাপানে ৪০ টনের বেশি আম রপ্তানি করেছে, যার বড় অংশ মিয়াজাকি। ভারতের কৃষকরা, যেমন মধ্যপ্রদেশের সঙ্কল্প পরিহার বা কর্নাটকের জোসেফ লোবো, এই আম চাষ করে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন।

কেন এত দাম?: এই আমের ১৫% শর্করা, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফলিক অ্যাসিড ও বিটা-ক্যারোটিনের মতো পুষ্টিগুণ এটিকে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী করে। জাপানে এটি স্টেটাস সিম্বল এবং উপহার হিসেবে জনপ্রিয়। ভারতের বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা এই আম চাষে সফলতা পাচ্ছেন, তবে চুরি রোধে সিসিটিভি ও কুকুর দিয়ে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *