ইজরায়েলে ক্ষমতার লড়াই: নেতানিয়াহুর শিন বেত প্রধান নিয়োগে সেনার ক্ষোভ

ইজরায়েলে ক্ষমতার লড়াই: নেতানিয়াহুর শিন বেত প্রধান নিয়োগে সেনার ক্ষোভ

ইজরায়েলে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এয়াল জামিরের মধ্যে শিন বেত প্রধান নিয়োগ নিয়ে তীব্র সংঘাত দেখা দিয়েছে। নেতানিয়াহু মেজর জেনারেল ডেভিড জিনিকে শিন বেতের নতুন প্রধান হিসেবে নিয়োগের ঘোষণা করেছেন, কিন্তু এই সিদ্ধান্তের আগে তিনি জামিরের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করেননি। আইডিএফ এই পদক্ষেপকে “প্রাতিষ্ঠানিক অপমান” হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছে, “কোনো সেনা কর্মকর্তার সরাসরি রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সেনা প্রধানের অনুমতি প্রয়োজন।” জিনির এই নিয়োগের পর তাঁকে “স্বেচ্ছায় অবসর” নিতে বলা হয়েছে, যা সেনার ক্ষোভের ইঙ্গিত দেয়।

এই বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে নেতানিয়াহুর পূর্ববর্তী শিন বেত প্রধান রোনেন বারকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত, যাকে ইজরায়েলের হাইকোর্ট “অবৈধ” বলে রায় দিয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল গালি বাহারাভ-মিয়ারা নেতানিয়াহুকে নতুন নিয়োগ থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিলেও তিনি জিনির নিয়োগ ঘোষণা করেন, যা সাংবিধানিক সংকট তৈরি করেছে। বার অভিযোগ করেছেন, নেতানিয়াহু তাঁর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আনুগত্যের দাবি করেছিলেন এবং সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের উপর নজরদারির নির্দেশ দিয়েছিলেন। এছাড়া, শিন বেত নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের কাতারের সঙ্গে কথিত আর্থিক সম্পর্কের তদন্ত করছিল, যা নেতানিয়াহুর স্বার্থের সংঘাতের ইঙ্গিত দেয়।

জিনি, যিনি আইডিএফ-এর ট্রেনিং কমান্ডের প্রধান, শিন বেতের মতো গোয়েন্দা সংস্থার নেতৃত্বের জন্য সীমিত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। মিডিয়া রিপোর্টে দাবি, নেতানিয়াহুর স্ত্রী সারা নেতানিয়াহুর সুপারিশে তাঁর নাম উঠে আসে, যদিও পূর্বে ধর্মীয় কারণে তাঁকে সামরিক সচিব পদে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। “এই নিয়োগ শিন বেতের নিরপেক্ষতা নষ্ট করতে পারে,” বলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. ইয়ারন এজরাহি। এই ঘটনা ইজরায়েলের গণতন্ত্র, সেনার স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের প্রশ্ন তুলেছে, যা দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *