রিলায়েন্স পাওয়ার ও ইনফ্রার শেয়ারে ঝড়, অনমোল আম্বানির নেতৃত্বে ব্যবসায় নতুন উচ্চতা

একসময় বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় থাকা অনিল আম্বানি ২০২০ সালে ব্রিটেনের আদালতে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর পুত্র জয় অনমোল আম্বানি তাঁর ব্যবসায়িক দক্ষতা দিয়ে পরিবারের ভাগ্য ফিরিয়েছেন। ১৮ বছর বয়সে রিলায়েন্স মিউচুয়াল ফান্ডে ইন্টার্নশিপ শুরু করে অনমোল ২০১৬ সালে রিলায়েন্স ক্যাপিটালের বোর্ডে অতিরিক্ত ডিরেক্টর হিসেবে যোগ দেন। তিনি রিলায়েন্স নিপ্পন লাইফ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট এবং রিলায়েন্স হোম ফাইনান্সের বোর্ডেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর নেতৃত্বে রিলায়েন্স গ্রুপের শেয়ার মূল্য ৪০% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়িয়েছে।
অনমোলের কৌশলগত পদক্ষেপে রিলায়েন্স পাওয়ার এবং রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার কার্যত ঋণমুক্ত হয়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে রিলায়েন্স পাওয়ারের সহযোগী সংস্থা সাসান পাওয়ার লিমিটেড ১২৮৬ কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ করে। অনমোল জাপানের নিপ্পন ফার্মকে রিলায়েন্সে বিনিয়োগ বাড়াতে রাজি করান, যা দুটি নতুন উদ্যোগ—রিলায়েন্স লাইফ ইনস্যুরেন্স এবং রিলায়েন্স ক্যাপিটাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট—শুরু করতে সহায়তা করে। তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ব্যবসায় স্বচ্ছতা ও স্থায়িত্ব আনা।” এই প্রচেষ্টায় গ্রুপের নেটওয়ার্থ ২০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
রিলায়েন্স পাওয়ারের শেয়ার মূল্য ২০২০ সালের ১.৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৫১.৯৪ টাকায় পৌঁছেছে, গত দুই বছরে ৩০০.৬২% রিটার্ন দিয়ে। এর বাজার মূলধন এখন ২০,৮৫৬.১১ কোটি টাকা। রিলায়েন্স ইনফ্রার শেয়ার ৮.৫% বেড়ে ৩০৭.৫০ টাকায় বন্ধ হয়েছে, বাজার মূলধন ১২,০৮৯.৯২ কোটি টাকা। গত এক মাসে শেয়ারগুলো যথাক্রমে ১৯.২২% এবং ১৪.৫৪% রিটার্ন দিয়েছে। অনমোলের নেতৃত্বে অনিল আম্বানির ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন আশা জাগিয়েছে।