পাকিস্তানের উপর ভারতের পাঁচটি প্রচণ্ড আঘাত, বিশ্ব মঞ্চে আতঙ্কের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান

পহেলগাঁওয়ে ২২ এপ্রিলের ভয়াবহ আতঙ্কবাদী হামলার পর, যেখানে ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছিল, ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে ভারতীয় সেনা পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) ৯টি আতঙ্কবাদী ঘাঁটি ধ্বংস করেছে। গত ৫০ ঘণ্টায় ভারত কেবল সামরিকভাবে নয়, কূটনৈতিকভাবেও পাকিস্তানকে চাপে রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর—সবাই পাকিস্তানের আতঙ্কবাদী সমর্থনের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিয়েছেন।
বিষ্ণোইয়ের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “২২ এপ্রিলের হামলার জবাবে ২২ মিনিটে ৯টি আতঙ্কবাদী ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। যারা সিঁদুর মুছতে চেয়েছিল, তাদের ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে।” তিনি স্পষ্ট জানান, “যদি পাকিস্তান এখনও না সংশোধন করে, তবে আরও কঠিন পরিণতি ভোগ করবে। বাণিজ্য, আলোচনা বা জল নয়—কথা হবে শুধু পিওকে নিয়ে।” পাকিস্তানের পারমাণবিক হুমকিকে উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “এই গিদড়ভাবকি আর চলবে না।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর ইউরোপে পাকিস্তানের আতঙ্কবাদী মুখোশ খুলে দিয়েছেন। জার্মানিতে তিনি বলেন, “ভারত আতঙ্কবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার নীতিতে অটল। পাকিস্তানের পারমাণবিক ব্ল্যাকমেলের সামনে ভারত মাথা নত করবে না।” জাতিসংঘে ভারতের প্রতিনিধি পার্বতানেনি হরিশ পাকিস্তানকে তিরস্কার করে বলেন, “যে দেশ আতঙ্কবাদী ও নাগরিকের মধ্যে পার্থক্য করে না, তার নাগরিক সুরক্ষা নিয়ে কথা বলার অধিকার নেই।” এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মঞ্চে ভারতীয় কূটনীতিক অনুপমা সিং ১০০ সেকেন্ডে পাকিস্তানের আতঙ্কবাদী সমর্থনের সমালোচনা করেন।
গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ বিএসএফ-এর এক অনুষ্ঠানে বলেন, “অপারেশন সিঁদুর আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি, গোয়েন্দা তথ্য ও সেনার অসাধারণ ক্ষমতার সমন্বয়। পাকিস্তান নিজেকে আতঙ্কবাদী হামলার শিকার হিসেবে দেখালেও, এটাই প্রমাণ করে তারা আতঙ্কবাদ সমর্থক।” ভারত ৩৩টি দেশে প্রতিনিধি পাঠিয়ে পাকিস্তানের আসল চেহারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরছে। এই কূটনৈতিক ও সামরিক আঘাত পাকিস্তানকে বিশ্ব মঞ্চে বিচ্ছিন্ন করছে।