দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের পদোন্নতিতে বড় পরিবর্তন, জন্মতারিখ হবে সিনিয়রিটি নির্ধারণের ভিত্তি

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের পদোন্নতিতে বড় পরিবর্তন, জন্মতারিখ হবে সিনিয়রিটি নির্ধারণের ভিত্তি

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (ডিইউ) শিক্ষকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে একটি নতুন নীতিমালাকে অনুমোদন দিয়েছে, যেখানে সিনিয়রিটি নির্ধারণে এবার থেকে জন্মতারিখকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৭৫তম কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে এবং এখন থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে।

নতুন নীতিমতে, যদি একাধিক শিক্ষকের একসমান যোগ্যতা থাকে—অ্যাকাডেমিক এবং অন্যান্য দিক থেকে—তবে বয়সকে পদোন্নতির প্রধান মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হবে। অর্থাৎ, যে শিক্ষক বয়সে বড়, তিনি সিনিয়র হিসেবে গণ্য হবেন। তবে, যদি শিক্ষকদের জন্মতারিখও একই হয়, তাহলে অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্স ইনডেক্স (API) স্কোরের ভিত্তিতে সিনিয়রিটি নির্ধারিত হবে। যদিও কোনো অবস্থাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ XI-এর বিধানের সাথে বিরোধ হবে না।

এই সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সমাজের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষক সংগঠনগুলি সিনিয়রিটি নির্ধারণে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য পদ্ধতির দাবি জানিয়ে আসছিল। সেই দাবি বিবেচনায় নিয়ে ডিইউ’র ডিন অফ কলেজেস, অধ্যাপক বলরাম জলর নেতৃত্বে একটি বিশেষ কমিটি গঠিত হয়।

কমিটি বিভিন্ন কলেজের শিক্ষক ও প্রশাসনের মধ্যে চলমান বিভ্রান্তি, অভিযোগ ও অস্পষ্টতাগুলি বিশ্লেষণ করে। সিনিয়রিটি নির্ধারণের অভ্যন্তরীণ পদ্ধতি নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছিল, বিশেষত যখন সকল শিক্ষকের যোগ্যতা প্রায় এক রকম। এই বাস্তবতা মাথায় রেখে কমিটি একটি সুপরিকল্পিত প্রতিবেদন তৈরি করে, যা ইসিতে পেশ করা হলে তা সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।

এই সিদ্ধান্তের ফলে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের এক বিতর্কের অবসান ঘটবে বলেই আশাবাদী সংশ্লিষ্ট মহল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *