পাঞ্জাব-হরিয়ানা জলবিতর্কে সিএম মানের আপত্তি, ভাখড়া বাঁধে CISF মোতায়েন রুখে দেওয়ার আর্জি

পঞ্জাব-হরিয়ানা জলবিতর্কে সিএম মানের আপত্তি, ভাখড়া বাঁধে CISF মোতায়েন রুখে দেওয়ার আর্জি

শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে নীতি কমিশনের ১০তম গভর্নিং কাউন্সিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ‘উন্নত রাজ্য থেকে উন্নত ভারত @ ২০৪৭’ এই মূল বিষয়ের অধীনে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা অংশ নেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতের উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা লক্ষ্য। এই অঙ্গীকারের সঙ্গে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভাগবন্ত মান ‘রঙ্গিলা পাঞ্জাব’ উন্নয়ন মডেল তুলে ধরেন, যেখানে বার্ষিক ৮% ঊর্ধ্বগতি, দুর্নীতির উল্লেখযোগ্য হ্রাস ও স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও নারী ক্ষমতায়নের নানা উদ্যোগের কথা বলেন।

বৈঠকের মূল আলোচনার অন্যতম ছিল পাঞ্জাব-হরিয়ানা জলবিতর্ক। সিএম মান কেন্দ্রের ভাখড়া ও নাঙ্গল বাঁধে সিআইএসএফ মোতায়েনের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, “এই বাঁধগুলোর নিরাপত্তা পাঞ্জাব দীর্ঘদিন ধরে নিজের দায়িত্বে নিয়েছে। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ রাজ্যের স্বতন্ত্র অধিকারে আঘাত করবে।” তিনি কেন্দ্রকে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। পাশাপাশি পাঞ্জাব সরকার ভাখড়া ব্যাস ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের পক্ষপাতদুষ্ট ব্যবস্থাপনার অভিযোগ তোলেন এবং বলছেন, “বোর্ডের অনুমতি ছাড়া জল মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত আইন ও সংবিধানের পরিপন্থী।”

সম্প্রতি হরিয়ানাকে অতিরিক্ত জল সরবরাহ না করে পাঞ্জাব সরকার ব্যাপক সাড়া ফেলেছে, যা আদালতের মাধ্যমে আরও জটিলতা তৈরি করেছে। কেন্দ্র এই পরিস্থিতিতে বোর্ডের নিরাপত্তা সিআরপিএফকে হস্তান্তর করেছে, যা পাঞ্জাব সরকারকে অর্থনৈতিক বোঝা মনে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সিএম মানের দাবি কেন্দ্রের সঙ্গে সংলাপ এবং রাজ্যের স্বার্থ রক্ষার উপরে জোর দিয়ে নতুন আলোচনার প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট করে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *