ভারতের পারমাণবিক শক্তিতে আমেরিকার দৌড়, চীন-পাকিস্তানের ঘুম হারাম!
ভারতের পারমাণবিক শক্তির সম্ভাবনায় মুগ্ধ আমেরিকা, যার নজর এখন ভারতের পরিষ্কার ও টেকসই জ্বালানি খাতে। আমেরিকান কো ম্পা নি ব্রুকফিল্ড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট আগামী পাঁচ বছরে ভারতে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে, বিশেষ করে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে। ভারত ২০৩২ সালের মধ্যে পারমাণবিক বিদ্যুৎ ক্ষমতা ৮,১৮০ মেগাওয়াট থেকে ২২,৪৮০ মেগাওয়াটে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়েছে। এর মধ্যে গুজরাট, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, হরিয়ানা, কর্ণাটক ও মধ্যপ্রদেশে ৮,০০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দশটি চুল্লি নির্মাণ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের কোভভাডায় আমেরিকার সহযোগিতায় ৭,২৪৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এই বিনিয়োগ ভারতের শক্তি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি পরিবেশগত লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে, তবে এটি চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়াতে পারে।
ব্রুকফিল্ডের চেয়ারম্যান কনর টেস্কি জানিয়েছেন, পারমাণবিক শক্তি পরিষ্কার এবং নির্ভরযোগ্য, যা বিশ্বব্যাপী জ্বালানি চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ। তাদের মালিকানাধীন ওয়েস্টিংহাউস নিউক্লিয়ার বিশ্বের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের অর্ধেকেরও বেশি প্রযুক্তি সরবরাহ করে। ভারতের ক্ষুদ্র পারমাণবিক চুল্লি (BSR) এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে ১০০ গিগাওয়াট ক্ষমতার লক্ষ্য এই বিনিয়োগকে আরও আকর্ষণীয় করেছে। ভারতের পারমাণবিক দায় আইন সংশোধন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করছে। বর্তমানে দেশে ২৪টি চুল্লি ৮,১৮০ মেগাওয়াট ক্ষমতা উৎপাদন করছে, এবং আরও ১৯টি চুল্লি নির্মাণ ও পরিকল্পনা পর্যায়ে রয়েছে। এই অগ্রগতি ভারতকে পারমাণবিক শক্তির শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশে পরিণত করতে পারে।