আইনের ফাঁদে মহিলার চোখের জল: ৩.৫ লাখ ঋণে ডুবলেন!

আইনের ফাঁদে মহিলার চোখের জল: ৩.৫ লাখ ঋণে ডুবলেন!

সুপ্রিম কোর্টে এক মর্মান্তিক মামলা আইনি ব্যবস্থার ত্রুটি উন্মোচন করেছে। পশ্চিমবঙ্গের এক গ্রামের দরিদ্র মহিলা তার স্বামীকে পকসো আইনে ২০ বছরের কারাদণ্ড থেকে বাঁচাতে আইনি লড়াইয়ে নেমেছিলেন। তিনি জামিন ও মামলা জেতার প্রতিশ্রুতিতে দালাল ও আইনজীবীদের ৩.৫ লাখ টাকা দিয়েছেন, যার জন্য তাকে ঋণ নিতে হয়েছে। তিনি ত্রিপলের ছাদওয়ালা জরাজীর্ণ বাড়িতে বাস করেন, যেখানে দরজাও নেই। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকা ও উজ্জ্বল ভূঁইয়ার বেঞ্চ এই ঘটনায় কমিটি গঠন করে তদন্ত করায়। কমিটির প্রতিবেদনে জানা যায়, মহিলাটি ঋণের ফাঁদে আটকে পড়েছেন। আদালত বলেছে, এই মামলা আইনি ব্যবস্থার ব্যর্থতা ও দরিদ্রদের শোষণের চিত্র তুলে ধরেছে।

মহিলাটি আইনজীবীদের ৪০,০০০ টাকা, মামলা জেতার জন্য ১০,০০০ টাকা, চার্জশিটের কপির জন্য ২০,০০০ টাকা এবং আদালতের কাগজপত্রের জন্য ৭,০০০ টাকা খরচ করেছেন। দালালকে ১৮,০০০ টাকা এবং হাইকোর্টে মামলার জন্য ১.৪ লাখ টাকা দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টে সিনিয়র আইনজীবীদের অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগের কারণে তার খরচ কিছুটা কম হয়। আদালত জানিয়েছে, মহিলার আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব এবং সঠিক পরামর্শের অভাবে তিনি শোষণের শিকার হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট এই ঘটনাকে চোখ খুলে দেওয়ার মতো ঘটনা বলে উল্লেখ করে, দরিদ্রদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আইনি ব্যবস্থার উন্নতির জন্য পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *