যুদ্ধের সবচেয়ে বড় আকাশ হামলায় ইউক্রেনে বিপর্যয়, বন্দি বিনিময় চলাকালীন ১৩ নিহত

রাশিয়া ইউক্রেনের শহরগুলোতে ৩৬৭টি ড্রোন ও মিসাইল নিয়ে রাতভর হামলা চালিয়েছে, যা ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পর সবচেয়ে বড় বিমান হামলা হিসেবে চিহ্নিত। এই হামলায় কিয়েভ, খারকিভ, মাইকোলাইভ, তের্নোপিল ও খমেলনিতস্কি অঞ্চলে ১৩ জন নিহত, যার মধ্যে জিতোমিরে তিন শিশু রয়েছে, এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছেন। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী ২৬৬টি ড্রোন ও ৪৫টি মিসাইল ধ্বংস করলেও, ব্যাপক ক্ষতি এড়ানো যায়নি। কিয়েভে অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক ও অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং ১১ জন আহত হন। খমেলনিতস্কিতে চারজনের মৃত্যু হয়। ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী দেনিস শ্মিহাল বলেন, “১৫টি অঞ্চলে হামলায় বাড়ি, ব্যবসা ও গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”
এই হামলা শুক্রবারের আরেকটি বড় হামলার পরে সংঘটিত, যেখানে কিয়েভ ড্রোন ও ব্যালিস্টিক মিসাইলের লক্ষ্যবস্তু ছিল। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানায়, রাশিয়ার উন্নত মিসাইলগুলো এখন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে চলাচল করতে সক্ষম, যা প্রতিরোধকে কঠিন করেছে। কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটস্কো বলেন, “শহরে বিস্ফোরণের শব্দে বাসিন্দারা ভূগর্ভস্থ আশ্রয়ে ছুটেছেন।” একই সময়ে, রাশিয়া দাবি করে, ইউক্রেন মস্কোর দিকে ১১০টি ড্রোন পাঠিয়েছিল, যা তারা ধ্বংস করেছে।
এই বিধ্বংসী হামলার মধ্যেই রাশিয়া ও ইউক্রেন ১,০০০ বন্দির বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়ন করছে, যা যুদ্ধের সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময়। শনিবার প্রত্যেক পক্ষ ৩০৭ জন সেনা মুক্ত করেছে, এর আগে শুক্রবার ৩৯০ জন মুক্তি পায়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, “আমরা আমাদের লোকদের ফিরিয়ে আনছি।” তবে, তিনি রাশিয়ার হামলার নিন্দা করে বলেন, “প্রতিটি হামলা বিশ্বকে দেখায়, যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার কারণ মস্কোর হাতে।” এই বিনিময় সত্ত্বেও, যুদ্ধের তীব্রতা কমেনি, এবং শান্তি আলোচনা এখনও দূরবর্তী।