RBI-এর লাভ ভাগাভাগি, কীভাবে দেশের অর্থনীতিতে হবে ইতিবাচক প্রভাব?

ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) এই অর্থবছরে কেন্দ্র সরকারকে সর্বোচ্চ ২.৬৯ লাখ কোটি রুপি লভ্যাংশ (ডিভিডেন্ট) ঘোষণা করেছে, যা দেশের অর্থনৈতিক ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্ববৃহৎ। এই বড় অংকের ডিভিডেন্ট সরকারের আয় বাড়িয়ে দেবে এবং বাজেটের ঘাটতি কমাতে সহায়তা করবে। RBI-র এই সিদ্ধান্তের প্রভাব সাধারণ মানুষের উপর পড়বে, বিশেষ করে ব্যাংকগুলোর ইএমআই এবং সুদের হারে সম্ভাব্য রেহাই পাওয়া যাবে।
RBI মূলত সরকারের ব্যাংক হিসেবে কাজ করে এবং দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে। রিজার্ভ ব্যাংক ডলার কেনাবেচা, নোট মুদ্রণ এবং বিদেশি বন্ডে বিনিয়োগ করে অর্থ উপার্জন করে। গত কয়েক বছরে RBI তার জরুরি তহবিল নিয়মে কিছু পরিবর্তন এনেছে, যা ডিভিডেন্টের পরিমাণ বাড়াতে সহায়ক হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, RBI-র এই অর্থ সরকারের প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানোর চাপ কমাবে, যা সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও, RBI-র এই অর্থ সরবরাহ ব্যাংকগুলোর জন্য সুদের হার কমানোর পথ সুগম করতে পারে। ফলে সাধারণ মানুষ যা মাসিক কিস্তি হিসেবে ব্যাংকে দিচ্ছে, তার পরিমাণ কমে আসবে। অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন আগামী মাসে RBI আরও সুদের হার কমানোর ঘোষণা দিতে পারে, যা বাজারে ক্রেডিট বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। এই সব কারণে RBI-এর লভ্যাংশ ঘোষণা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।