সেনা মেজরের অভিযোগ, স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কে হোটেল সিসিটিভি গোপন!

দিল্লির একটি দেওয়ানি আদালত ভারতীয় সেনার দুই মেজরের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে উত্থাপিত এক মামলায় গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে। একজন মেজর তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অন্য মেজরের সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ তুলে হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়েছিলেন। কিন্তু বিচারক বৈভব প্রতাপ সিং স্পষ্ট জানিয়েছেন, হোটেলে অতিথিদের গোপনীয়তার অধিকার রয়েছে, যা কেবল তাদের কক্ষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, সাধারণ এলাকাতেও প্রযোজ্য। আদালত বলেছে, অভিযুক্ত দম্পতিকে মামলায় পক্ষ না করে ফুটেজ দেওয়া গোপনীয়তার লঙ্ঘন। অভিযোগকারীকে সেনাবাহিনী আইন, ১৯৫০ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আদালত জোসেফ শাইন বনাম ভারত ইউনিয়ন মামলার (২০১৮) সুপ্রিম কোর্টের রায় উল্লেখ করে বলেছে, ব্যভিচারকে আর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয় না, কারণ এটি নারীর স্বাধীন ইচ্ছাকে অস্বীকার করে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) এই পুরুষতান্ত্রিক ধারণাকে বাতিল করেছে। বিচারক গ্রাহাম গ্রিনের উপন্যাস “দ্য এন্ড অফ দ্য অ্যাফেয়ার” উদ্ধৃত করে বলেন, বৈবাহিক বিশ্বস্ততার দায় একমাত্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ব্যক্তির। আদালত জানায়, এটি কোনো বেসরকারি তদন্ত সংস্থা নয় যে ব্যক্তিগত বিরোধে প্রমাণ সংগ্রহ করবে। এই রায় গোপনীয়তার অধিকার ও প্রাকৃতিক ন্যায়বিচারের ভারসাম্যের উপর জোর দিয়েছে।