টেকসই জীবনযাত্রার প্রথম ধাপ, বাজেট-বান্ধব গ্রোসারি শপিংয়ের সঠিক কৌশল

টেকসই জীবনযাত্রার প্রথম ধাপ, বাজেট-বান্ধব গ্রোসারি শপিংয়ের সঠিক কৌশল

টেকসই জীবনধারা অনেকের কাছে ব্যয়বহুল মনে হলেও, গ্রোসারি শপিংয়ে একটু সচেতন হলে সহজেই পরিবেশবান্ধব হতে পারেন। মূল কথা হলো, বেশি খরচ না করে স্মার্ট কেনাকাটা করা। পরিকল্পনা করে কেনাকাটা করা এবং অপ্রয়োজনীয় খাবার বর্জন করা সবচেয়ে বড় উপায়। যেমন, সাপ্তাহিক খাবারের তালিকা তৈরি করলে অনাকাঙ্ক্ষিত কেনাকাটা কমে, খাবার নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কমে এবং অর্থও বাঁচে।

বড় পরিমাণে কেনাকাটা করলেও শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় জিনিসই নিন, কারণ এতে প্যাকেজিং কমে এবং দীর্ঘমেয়াদে অর্থ সাশ্রয় হয়। স্থানীয় বাজার থেকে মৌসুমি ও ঢেড়া ফল-মূল কিনুন, যা পরিবহন ব্যবস্থাকে সহজ করে এবং কার্বন পদচিহ্ন কমায়। মাংস ও দুগ্ধজাত খাবার কমিয়ে শাকসবজি ও ডাল-মসুরে ভরপুর খাবার গ্রহণ করলে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ দুটোর জন্যই লাভজনক।

পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহারের পরিবর্তে নিজস্ব রিইউজেবল ব্যাগ নিয়ে যাওয়া জরুরি। ‘গ্রীনওয়াশিং’ শব্দের ফাঁদে পড়ে যেকোনো পণ্যে অতিরিক্ত খরচ করবেন না, বরং সহজ এবং স্থানীয় পণ্যকে বেছে নিন। এছাড়া, বাকি খাবার জমা করে রাখা, খারাপ হয়ে যাওয়া জিনিস চিহ্নিত করা এবং ‘অপারফেক্ট’ সবজি গ্রহণ করাও খাদ্য অপচয় কমাতে সাহায্য করে। ছোট ছোট সচেতনতা পরিবেশের বড় রক্ষা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *