জাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রুখতে তৎপর রাজ্য, জারি নতুন নির্দেশিকা

নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: রাজ্যে ওষুধের গুণমান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। সোমবার ১৬ দফা নির্দেশিকা জারি করে জেলায় পরিদর্শন থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস পর্যন্ত একাধিক পদক্ষেপের ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে সরকারি স্টোর ও বেসরকারি ফার্মেসিতে নজরদারি জোরদার হবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের সিএমওএইচ সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, “রাজ্যের নির্দেশিকা মেনে আমরা কাজ শুরু করেছি। মানুষের কাছে মানসম্মত স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছানোই আমাদের লক্ষ্য।”
নির্দেশিকায় মাতৃত্বকালীন ওষুধের গুণমানের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। স্টোর ইন-চার্জদের ওষুধের সঠিক সংরক্ষণ ও তাপমাত্রা-সংবেদনশীল ওষুধের পরীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ই-প্রেসক্রিপশন, অনলাইন ওষুধ বিতরণ ও প্রেসক্রিপশন অডিট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জেলার সরকারি স্টোরে আচমকা পরিদর্শনের পাশাপাশি বেসরকারি ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ বা জাল ওষুধ বিক্রির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত বছর কলকাতায় ৩৫টি ওষুধ মানহীন প্রমাণিত হওয়ায় এই পদক্ষেপ আরও জরুরি হয়ে পড়েছে।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় স্যালাইন নিয়ে অভিযোগ ওঠার পর থেকে স্বাস্থ্য দপ্তরের তৎপরতা বেড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা রানা দাস বলেন, “ওষুধের গুণমান নিয়ে গাফিলতি মানুষের জীবনের ঝুঁকি বাড়ায়। এই নির্দেশিকা জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।” স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, “জাল ওষুধ রুখতে আমরা নিয়মিত পরীক্ষা ও কঠোর নজরদারি চালাচ্ছি।” এই পদক্ষেপ জনসাধারণের মধ্যে আস্থা ফেরাতে সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে।