চীনা পণ্যে ঘর ভর্তি? মোদীর ডাকে শুরু হোক বয়কট!

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চীনা পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়ে ভারতীয়দের দেশীয় পণ্য ব্যবহারে উৎসাহিত করেছেন। গত দুই দশকে ভারতে চীন থেকে আমদানি ব্যাপকভাবে বেড়েছে, যার মধ্যে রয়েছে রান্নাঘরের জিনিস, ইলেকট্রনিক গ্যাজেট, খেলনা, এমনকি পূজার মূর্তি। ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চীন সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সৈন্য শহীদ হওয়ার পর চীনা পণ্য বয়কটের ডাক উঠেছিল। এর ফলে দেশীয় পণ্যের ব্যবহার বেড়েছে, তবে এখনও চীনা খেলনা (৭৫% বাজার), প্লাস্টিকের মূর্তি, হোলির রঙ, পিচকারি এবং দীপাবলির আলংকারিক ঝালর ভারতীয় বাজারে প্রচলিত। এই পণ্যগুলো কেবল অর্থনীতিই নয়, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুভূতির উপরও প্রভাব ফেলছে। মোদী জোর দিয়ে বলেছেন, চীনা পণ্য বর্জন করলে ভারতীয় শিল্প শক্তিশালী হবে এবং অর্থনীতি উন্নত হবে।
চীনের সীমান্তে পাকিস্তানকে গোপনে সমর্থন এবং ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রেক্ষাপটে চীনা পণ্য বয়কট আরও জরুরি হয়ে উঠেছে। স্মার্টফোন (Xiaomi, Oppo, Vivo), পাওয়ার ব্যাঙ্ক, LED বাল্ব, ক্রীড়া সামগ্রী (৭৫% চীনা), এবং প্লাস্টিকের গৃহস্থালি সামগ্রী এখনও বাজারে ছড়িয়ে আছে। সরকার চীনের বিকল্প হিসেবে ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশ থেকে ১,০৫০+ পণ্য আমদানির পরিকল্পনা করছে। বিআইএস সার্টিফিকেশন বাধ্যতামূলক করায় চীনা পণ্যের আমদানি কিছুটা কমলেও, বাজারে এখনও সস্তা দামের কারণে এগুলো জনপ্রিয়। প্রতিটি ভারতীয়কে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ পণ্য কিনে চীনা পণ্য বর্জনের শপথ নিতে হবে, যাতে চীন অর্থনৈতিক ধাক্কা খায় এবং ভারত স্বনির্ভর হয়।