ট্রাম্পকে কিম জং উনের প্রথম বড় হুমকি, গোল্ডেন ডোম প্রকল্প বাতিল না হলে পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা

উত্তর কোরিয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘গোল্ডেন ডোম’ মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে। পিয়ংইয়ং সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই প্রকল্প যুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে এবং আমেরিকা যদি এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসে, তবে পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনা কেউ ঠেকাতে পারবে না।
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে এটি কিম জং উনের পক্ষ থেকে প্রথম বড় হুমকি। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের মতে, গোল্ডেন ডোম প্রকল্পের মাধ্যমে আমেরিকা মহাকাশে মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন করে নিজেকে আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত করতে চায়। পিয়ংইয়ং এই পদক্ষেপকে বিশ্বে আধিপত্য বিস্তারের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছে এবং অবিলম্বে এটি বাতিলের দাবি জানিয়েছে।
কিম জং উনের ক্ষোভের কারণ কী?
কিম জং উনের ক্ষোভের প্রধান কারণ আমেরিকার সঙ্গে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক সহযোগিতা। উত্তর কোরিয়া মনে করে, গোল্ডেন ডোম সফল হলে এই ব্যবস্থা জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায়ও প্রয়োগ হতে পারে, যাদের পিয়ংইয়ং শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে। এই ব্যবস্থা চালু হলে উত্তর কোরিয়ার মিসাইল ও বোমার আক্রমণ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়বে, যা তাদের কৌশলগত অবস্থানকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
এই কারণে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক হামলার হুমকি দিয়েছে। পিয়ংইয়ংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক যুদ্ধের সূচনা হতে পারে।
কিমের হাতে ৫০টি পারমাণবিক অস্ত্র, আরও ৯০টি তৈরির প্রক্রিয়ায়
মার্কিন গবেষণা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়ার কাছে বর্তমানে ৫০টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, যা তারা গোপন রেখেছে। এছাড়া, আরও ৯০টি অস্ত্র তৈরির কাজ চলছে। সম্প্রতি আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার সময় কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, তাদের অস্ত্র প্রদর্শনীর জন্য নয়, বরং কার্যকর ব্যবহারের জন্য তৈরি।