বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বর্তমানে একাধিক সমস্যায় জর্জরিত। এর মধ্যেই সরকারের অভ্যন্তর থেকে নতুন বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী এমন একটি মন্তব্য করেছেন, যা শুধুমাত্র অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের জন্যই সমস্যা তৈরি করেনি, বরং ভারতের সঙ্গে সম্পর্কেও নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।

মঙ্গলবার রাজশাহীতে একটি জেল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে জাহাঙ্গির আলম সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ভারতের পক্ষ থেকে সীমান্তে ‘পুশ-ইন’ ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। আমরা এ নিয়ে বারবার প্রতিবাদ জানিয়েছি। যদি প্রেরিত ব্যক্তিরা আমাদের নাগরিক হয়, তবে তাদের যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পাঠানো হোক।”

নো-ম্যানস-ল্যান্ডে উত্তেজনা

মঙ্গলবার সকালে ভারতের আসাম এবং বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার সীমান্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বোরাইবাড়ি এবং মানকাছড় এলাকায় সীমান্ত পিলার নম্বর ১০৬৭-এর কাছে বিএসএফ এবং বিজিবি মুখোমুখি হয়। জানা গেছে, বিএসএফ ৯ জন পুরুষ এবং ৫ জন নারীকে বাংলাদেশে ‘পুশ-ইন’ করার চেষ্টা করে, যা দেশটির মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে।

“সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ”, উপদেষ্টার দাবি

জাহাঙ্গির আলম তাঁর বক্তব্যে দাবি করেছেন, সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ। তিনি বলেন, “আমাদের বাহিনী পুরোপুরি সতর্ক রয়েছে এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত। সীমান্তে কোনো ধরনের অশান্তি হবে না।” তিনি গণমাধ্যমের প্রতিও সংবেদনশীল ঘটনার রিপোর্টিংয়ে দায়িত্বশীলতার আহ্বান জানান।

ঈদের জন্য নিরাপত্তা প্রস্তুতি

অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গির আলম জানান, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে সব নিরাপত্তা সংস্থাকে সতর্ক করা হয়েছে। তিনি বলেন, গত ঈদ শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছিল এবং এবারও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই সময় তিনি ১৮ জন নতুন ডেপুটি জেলার এবং ৫০৮ জন কারারক্ষীর পাসিং আউট প্যারেডে সালাম গ্রহণ করেন।