পহেলগাম হামলা সত্ত্বেও পর্যটকদের ফেরার আহ্বান ফারুক আবদুল্লাহর, কেন তিনি আবেগপ্রবণ?

শ্রীনগর: পহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পরেও ন্যাশনাল কনফারেন্স (NC) প্রধান ফারুক আবদুল্লাহ পর্যটকদের আবেগপ্রবণ আবেদন জানিয়েছেন, যাতে তাঁরা জম্মু ও কাশ্মীর ফিরে আসেন। মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময়, আবদুল্লাহ স্থানীয় অর্থনীতি এবং পর্যটন নির্ভর বাসিন্দাদের জীবন-জীবিকার উপর এই ঘটনার প্রভাব তুলে ধরেন।
পর্যটকদের কাছে ফারুক আবদুল্লাহর আবেদন:
ফারুক আবদুল্লাহ বলেছেন, “এই বছর আমরা লক্ষ লক্ষ মানুষের আসার আশা করেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, যারা নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে, তারা দেখেনি যে এর প্রভাব সেই ট্যাক্সি চালক, হোটেল মালিক এবং ঘোড়ার মালিকদের উপর কী পড়বে।” তিনি এই অঞ্চলের পর্যটন নির্ভরতার উপর জোর দিয়ে বলেন, “আমরা ঈশ্বর প্রদত্ত সৌন্দর্য বিক্রি করি এবং জীবিকা নির্বাহ করি।” যা ঘটেছে, তার জন্য আমরা অত্যন্ত দুঃখিত। অনুগ্রহ করে ফিরে আসুন, আমরা আপনার জন্য অপেক্ষা করছি।”
‘আপনারা অবশ্যই এখানে আসুন কারণ…’
আবদুল্লাহ আসন্ন অমরনাথ যাত্রার কথাও উল্লেখ করেছেন, যা প্রতি বছর হাজার হাজার ভক্তকে ভগবান শিবের দর্শনের জন্য উপত্যকায় আকর্ষণ করে। তিনি বলেন, “আপনারা অবশ্যই এখানে আসুন কারণ ভোলেনাথও আপনার জন্য অপেক্ষা করছেন।” তাঁর বিবৃতিতে, আবদুল্লাহ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের চলমান লড়াইকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার জন্য পাঠানো সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের উপরও মন্তব্য করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে এই প্রতিনিধি দল শান্তির বার্তা দেবে এবং এর ফলে নিরীহ মানুষের হত্যা বন্ধ হবে।
পুরো ঘটনাটি কী?
জম্মু ও কাশ্মীর সরকার পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং শান্তি প্রচারে দ্বৈত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার সময় এনসি প্রধানের এই মন্তব্য এসেছে। আবদুল্লাহর পর্যটকদের ফিরে আসার আবেদন স্থানীয় অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার একটি প্রচেষ্টা, যা সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরর পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল।1 এতে চার সন্ত্রাসী ২৬ জনকে ধর্ম জিজ্ঞেস করে হত্যা করেছিল। এর জবাবে সেনাবাহিনী ৭ মে ‘অপারেশন সিন্দূর’ চালায় এবং পাকিস্তান ও পিওকে-এর ৯টি সন্ত্রাসী আস্তানা ধ্বংস করে দেয়।2